শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দিনক্ষণ ঠিক হওয়ায় নীলফামারীতে বেশ জোরেশোরে চলছে পাঠদানের প্রস্তুতি।
এরই মধ্যে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কার্যক্রমের পাশাপাশি টেবিল-চেয়ার গোছানোসহ বেশির ভাগ কাজ সেরে ফেলেছে অনেক প্রতিষ্ঠান।
সরেজমিনে মঙ্গলবার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে এ চিত্র দেখা গেছে।
এ রকমই একটি প্রতিষ্ঠান ডিমলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের টেপাখড়িবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়।
বিদ্যালয়ের দপ্তরি আতাউর রহমান ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ব্ল্যাকবোর্ড পরিষ্কার, টেবিল-বেঞ্চ সাজানো এবং ময়লা অপসারণের কাজে।
তিনি বলেন, ‘দুদিন আগে এ কাজ শুরু করেছি। অনেক দিন বন্ধ ক্লাসরুমগুলো। ব্ল্যাকবোর্ডে ময়লা জমেছে। বসার বেঞ্চগুলো এদিক-সেদিক রয়েছে। কয়েক দিন পর শিক্ষার্থীরা আসবে, পাঠদান শুরু হবে। যার জন্য সব কিছু ঠিকঠাকের কাজ করেছি।’
আরেকজন বেলাল হোসেন। নীলফামারী শহরের স্কুল অ্যান্ড কলেজের অফিস সহায়ক হিসেবে কর্মরত।
তিনি জানান, বিদ্যালয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ প্রায় শেষের দিকে। এরই মধ্যে শৌচাগার পরিচ্ছন্ন এবং বিদ্যালয়ের মাঠ পরিষ্কার করা হয়েছে। বাকি কয়েক দিনের মধ্যে যাবতীয় কাজ শেষ করা যাবে।
টেপাখড়িবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খাতুন জানান, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা পাঁচ শ। দেড় বছর বন্ধ থাকার পর শুরু হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। আশা করি ১২ সেপ্টেম্বরের আগে যাবতীয় কার্যক্রম শেষ হবে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নবেজ উদ্দিন জানান, বিদ্যালয় খোলার ব্যাপারে উপজেলা পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে। স্কুলগুলোতে পড়ার পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, বন্যায় কিছু বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেগুলো মেরামত করে অথবা বিকল্প পদ্ধতিতে পাঠদান করার প্রক্রিয়া চলছে।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সব প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছি। সরকারি নির্দেশনা অনুসারে বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু করার পরিকল্পনা নিচ্ছি। এরই মধ্যে উপজেলা পর্যায়ে শিক্ষা কর্মকর্তা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে।