পদ্মায় একই সঙ্গে রেল ও সড়ক সেতু চালু করার সিদ্ধান্ত থাকলেও সেটি নাও হতে পারে। সেতু কর্তৃপক্ষ রেলপথ স্থাপনের অংশ বুঝিয়ে না দেয়ায় এই অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন মঙ্গলবার সকালে পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্প এলাকা পানগাঁওয়ে চায়না রেলওয়ে গ্রুপের কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘আগামী বছরের জুনে পদ্মা সেতু দিয়ে একসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও ট্রেন চলাচল শুরু করার চেষ্টা চলছে। কিন্তু চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে সেতু কর্তৃপক্ষ পদ্মা সেতুতে রেলপথ স্থাপনের অংশ রেলওয়েকে বুঝিয়ে না দিলে এ কাজ যথাসময়ে অর্থাৎ জুনের মধ্যে শেষ হবে না। এতে করে জুনে পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু করা নিয়ে সংশয় রয়েছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘এ নিয়ে আমরা বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করার চেষ্টা করছি। যদি কোনো কারণে আগামী জুন মাসে পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু করা সম্ভব না হয়, তাহলে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা রেলপথ অংশ চালু করার জন্য আমাদের বিকল্প চিন্তাভাবনা রয়েছে।’
দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীর সড়ক যোগাযোগ সহজ করতে পদ্মা নদীর ওপর প্রথমে কেবল সড়ক সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত হলেও পরে তাতে রেল যুক্ত হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তে।
গত ১০ ডিসেম্বর সব কটি স্প্যান বসে যাওয়ার পর সড়ক সেতুতে ব্লক ও রেল সেতুতে লাইন বসানোর কাজ শুরু হয়। এরই মধ্যে সব ব্লক বসে গেছে। চলছে কার্পেটিংয়ের কাজ।
আগামী জুনের মধ্যে সেতু চালুর ঘোষণা আছে সরকারের।
রেলপথ নিয়ে কাজের অগ্রগতি গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে তুলে ধরেন মন্ত্রী। বলেন, ‘করোনাকালের মধ্যেও এই বড় প্রকল্পের কাজ অনেক দূর এগিয়ে গেছে।’
২০২১ সালের আগস্ট পর্যন্ত কাজের সার্বিক অগ্রগতি ৪৩.৫০ শতাংশ।
এরমধ্যে মাওয়া- ভাঙ্গা অংশের কাজের অগ্রগতি সবচেয়ে বেশি ৬৯ শতাংশ। ঢাকা-মাওয়া অংশের কাজের অগ্রগতি ৪০.৫০ শতাংশ।
ভাঙ্গা- যশোর সেকশনে নির্মাণ কাজের অগ্রগতি ৩২ শতাংশ।
এই পথে ৩৭ কালভার্টের মধ্যে ২২টির নির্মাণ শেষ হয়েছে। পদ্মাসেতুর জাজিরা অংশে ৪ কিলোমিটার ভায়াডাক্টের কাজও শেষ। এই অংশে রেল চলাচলের জন্য ব্যালাসলেস ট্রাকেরও উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী।