বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পুঁজিবাজার থেকে ৩০ কোটি টাকা তুলতে পারবে এসএমই

  •    
  • ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৯:১৮

‘ভারতের অর্থনীতিতে এসএমই খাতের অবদান ৬০ শতাংশ, চীন ও জাপানে প্রায় ৭০ শতাংশ। তবে বাংলাদেশে মাত্র ২৫ শতাংশ। এই হার বাড়াতে উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছে এসএমই ফাউন্ডেশন।’

ক্ষুদ্র ও মাঝারি (এসএমই) উদ্যোক্তাদের সবচেয়ে সংকট দূর করতে পুঁজিবাজার থেকে টাকা তোলা সহজ করা হলো।

উদ্যোক্তারা এখন থেকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিওর মাধ্যমে ৫ কোটি থেকে ৩০ কোটি টাকা পর্যন্ত মূলধন সংগ্রহ করতে পারবেন। ভবিষ্যতে এসএমইর সংজ্ঞা পরিবর্তন হলে মুলধন সংগ্রহের পরিমাণ আরও বাড়ানোর সুযোগ রাখা হয়েছে।।

সোমবার রাজধানীর খিলক্ষেতের ডিএসই টাওয়ারে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের সংগঠন এসএমই ফাউন্ডেশন ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের মধ্যে এ বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

এসএমই ফাউন্ডেশনের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক মফিজুর রহমান এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আমিন ভূঁইয়া চুক্তিতে সই করেন।

মূলধন সংগ্রহের বিষয়ে ‘কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফার বাই স্মল ক্যাপিটাল কোম্পানিজ-রুলস, ২০১৮ প্রণয়ন করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন। এই আইনটির প্রয়োগ ও নির্দেশনা অনুসারেই পুঁজিবাজার থেকে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের মুলধন আহরণের সুযোগ সৃষ্টি করা হলো।

ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের পুঁজিবাজার থেকে মূলধন আহরণের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল থেকে ‘ডিএসই এসএমই’ প্ল্যাটফর্ম চালু করে। এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এসএমই খাতভুক্ত কোম্পানিসমূহ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির মাধ্যমে পুঁজি সংগ্রহ করতে পারবে।

অনুষ্ঠানে এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মফিজুর রহমান বলেন, ‘এই সুযোগ নিঃসন্দেহে দেশের এসএমই খাতের জন্য একটি নতুন যুগের সূচনা করবে। তবে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করাই যথেষ্ট নয়, একে সফল করতে হবে।’

ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আমিন ভূঁইয়া বলেন, ‘বর্তমানে ৫ কোটি থেকে ৩০ কোটি টাকা মূলধন সংগ্রহের সুযোগ থাকলেও এসএমইর সংজ্ঞা পরিবর্তন হলে এর পরিমাণ আরও বাড়বে।’

এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মাসুদুর রহমান বলেন, ‘ভারতের অর্থনীতিতে এসএমই খাতের অবদান ৬০ শতাংশ, চীন ও জাপানে প্রায় ৭০ শতাংশ। তবে বাংলাদেশে মাত্র ২৫ শতাংশ। এই হার বাড়াতে উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছে এসএমই ফাউন্ডেশন।’

তিনি বলেন, ‘এসএমই উদ্যোক্তাদের অন্যতম বড় সমস্যা পুঁজি সংকট। ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে বছরে এই খাতে ১ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকার ঋণ দেয়া হলেও চাহিদা অন্তত তিন গুণ; ৫ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকার মতো।

‘এই সংকট সমাধানের লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের পুঁজিবাজার থেকে মূলধন সংগ্রহের সুযোগ করে দিতেই বিধিমালা তৈরি করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন-বিএসইসি। এই সুযোগ গ্রহণ করে লাভবান হতে পারবে উদ্যোক্তারা।’

ডিএসই চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমান বলেন, ‘সরকার দুই দফায় প্যাকেজ ঘোষণা করলেও নানা জটিলতায় বেশিরভাগ উদ্যোক্তা তার সুফল পাননি। সেক্ষেত্রে পুঁজিবাজার থেকে মূলধন সংগ্রহ করতে পারা তাদের জন্য একটা বড় সুযোগ। কারণ, দীর্ঘমেয়াদী মূলধন সংগ্রহের জন্য সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য জায়গা হচ্ছে পুঁজিবাজার।’

এ বিভাগের আরো খবর