ফেসবুকে ভাইরাল একটি ভিডিও। তাতে দেখা যাচ্ছে দুই শিশুকে গুলি চালানো শেখাচ্ছেন তাদের বাবা।
এই ভিডিও নিয়ে চলছে সমালোচনা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভিডিওর ওই ব্যক্তির নাম জাহিদুল ইসলাম জুয়েল। তিনি আইনি সহায়তাবিষয়ক প্রতিষ্ঠান লিগাল এইডের চাঁপাইনবাবগঞ্জ শাখার কর্মকর্তা।
ভিডিওর বিষয়ে জানতে নিউজবাংলার এই প্রতিবেদক যোগাযোগ করেন জুয়েলের সঙ্গে।
তিনি জানান, ভিডিওটি ২০১৬ সালের। সে সময় খুলনার কয়রার ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন তিনি। সুন্দরবন এলাকায় একদিন ছেলেদের নিয়ে বেড়াতে যান। সেখানে ছেলেদের গুলি চালানো শেখান।
তিনি বলেন, ‘কোনো খারাপ উদ্দেশ্যে করি নাই। গাছকে এইম করে গুলি করা। ওই ভিডিও আমার ফেসবুকে দেয়া ছিল।’
জুয়েল বলেন, ‘ওই ভিডিও আমেরিকায় থাকা নিয়াজ মাহমুদ নামে একজন এতদিন পর নেতিবাচক উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট দিয়েছেন। এই নিয়াজ মাহমুদ আমেরিকায় থাকেন। সাংবাদিক, রাষ্ট্র নিয়ে প্রতিনিয়ত আজেবাজে কথা লেখেন।
‘আমার বড় বোন তার প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার কারণে, আমার এই ২০১৬ সালের ভিডিও নিয়ে পোস্ট করেছেন, একাধিক আইডি, ফেক আইডি থেকে।’
জুয়েল জানান, কয়রায় ম্যাজিস্ট্রেট থাকাকালীন সুন্দরবনের বনদস্যু ও ডাকাতদের হটাতে গুলি চালাতে হতো।
তিনি বলেন, ‘এটা খুব সহজ জিনিস, কিন্তু উনি (নিয়াজ মাহমুদ) পারিবারিক দেখাদেখির মানে দেখে নেব- এই মনমানসিকতা থেকে নেগেটিভভাবে উপস্থাপন করেছেন।’
শিশুদের হাতে বন্দুক তুলে দেয়া ঠিক ছিল কি না জানতে চাইলে জুয়েল বলেন, ‘তখন তো বন্ধুবান্ধব আমরা এমনি ফায়ার করতাম। একটা গাছ টার্গেট করে ফায়ার করতাম… আমার যেহেতু অস্ত্র আছে দুইটা, আমার ওয়াইফ ও আমার ছেলেমেয়েরা একটু শিখত। শ্যুটিং একটা স্পোর্টস। এরা এখন থেকে শিখলে এটা ঠিক হবে, এটুকুই।
‘যেহেতু পাঁচ বছর ধরে ভিডিওটা নিয়ে কেউ কিছু বলেনি ভাই, নিজের ফেসবুকে দেয়া মানে তো সারা দুনিয়ার জন্যে, এটা তো খারাপ উদ্দেশ্যে দেয়া না। পারিবারিক রেষারেষির কারণে ওই লোকটা (নিয়াজ মাহমুদ) খারাপভাবে উপস্থাপন করেছেন। উনি আমার ভয়াবহ ক্ষতি করার চেষ্টা করছেন।’
ফেসবুকে এ ধরনের ভিডিও দেয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন জুয়েল।