বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রাথমিকে বার্ষিক পরীক্ষা ডিসেম্বরে

  •    
  • ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৩:৫৮

প্রাথমিক পর্যায়ে বার্ষিক পরীক্ষা নিয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের রিকভারি প্ল্যান করা আছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত হবে। বার্ষিক পরীক্ষাও অনুষ্ঠিত হবে। ওয়ার্কশিটও চলতে থাকবে।’

করোনাভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে ডিসেম্বরে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষাসহ সব ক্লাসের বার্ষিক পরীক্ষা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন।

প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামী রোববার থেকে খুলে দেয়ার ঘোষণার পরের দিন সোমবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। বলেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে নভেম্বর-ডিসেম্বরে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।’

প্রাথমিক পর্যায়ে বার্ষিক পরীক্ষা নিয়ে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের রিকভারি প্ল্যান করা আছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত হবে। বার্ষিক পরীক্ষাও অনুষ্ঠিত হবে। ওয়ার্কশিটও চলতে থাকবে।’

প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত হলেও প্রাক-প্রাথমিক বন্ধই থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী।

চার বছরের নিচের শিশুদের নিয়ে সরকার ঝুঁকি নিতে চায় না জানিয়ে জাকির হোসেন বলেন, ‘ওয়ান, টু, থ্রি ও ফোর আসুক, পরিস্থিতি বুঝে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের আনা হবে।’

দেশে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। প্রাণঘাতী ভাইরাসটির বিস্তার রোধে ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। এরপর দফায় দফায় বাড়ানো হয় ছুটির মেয়াদ। সর্বশেষ ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছুটির মেয়াদ বাড়ানো হয়।

এই ছুটি আর না বাড়িয়ে ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। পরের দিন থেকে খুলবে মেডিক্যাল, ডেন্টাল ও নার্সিংবিষয়ক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

দীর্ঘ সময় ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থী বিশেষ করে শিশুদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন মনোচিকিৎসকরা। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও।

সম্প্রতি জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনা মহামারির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় দেশের ৪ কোটির বেশি শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের ভাষ্য, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যত বেশি সময় বন্ধ থাকবে, ততই বাড়বে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা।

দেশে জনগোষ্ঠীর ২৪.৪ শতাংশ নিরক্ষর

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যের বরাতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন জানান, দেশে বর্তমানে সাক্ষরতার হার ৭৫.৬ শতাংশ। নিরক্ষরের সংখ্যা ২৪ দশমিক ৪ শতাংশ।

তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকারের নানামুখী কর্মসূচির কারণে পূর্বের তুলনায় সাক্ষরতার হার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে এখনও প্রায় ২৪.৪ শতাংশ জনগোষ্ঠী নিরক্ষর। এসব নিরক্ষর জনগোষ্ঠীকে সাক্ষর করতে না পারলে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সম্ভবপর নয়।’

জাকির হোসেন বলেন, ‘ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য সবার আগে প্রয়োজন সাক্ষরতা জ্ঞান। দেশের সকল মানুষকে সাক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন করা গেলে ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের ফলে নিরক্ষর ও সাক্ষরতা জ্ঞানসম্পন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে সৃষ্ট বিভাজন কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের নিরক্ষর মানুষকে সাক্ষরতা জ্ঞান ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে মানবসম্পদে পরিণত করার দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিবর্গকেও এগিয়ে আসতে হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর