বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘শিক্ষা-গবেষণা’য় বাজেট বাড়াচ্ছে জগন্নাথ

  •    
  • ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২১:৪৩

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, ‘বাজেট সাধারণত যে রকম হয় তেমনই হবে৷ তবে শিক্ষাখাতে বাজেট বাড়াতে বলেছি। গবেষণা, যন্ত্রপাতি, কেমিক্যাল, বইপুস্তক ইত্যাদি ক্রয়সহ শিক্ষাসেবায় যেসব প্রয়োজনীয় উপকরণ জরুরি সেসব জিনিসপত্রে আমরা বাজেট বাড়িয়ে দিতে বলেছি।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে শিক্ষা ও গবেষণা খাতে বাজেট বাড়ানো হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৫তম সিন্ডিকেট সভায় সোমবার বাজেট পাস হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক নিউজবাংলাকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘বাজেট সাধারণত যে রকম হয় তেমনই হবে৷ তবে শিক্ষাখাতে বাজেট বাড়াতে বলেছি। গবেষণা, যন্ত্রপাতি, কেমিক্যাল, বইপুস্তক ইত্যাদি ক্রয়সহ শিক্ষাসেবায় যেসব প্রয়োজনীয় উপকরণ জরুরি সেসব জিনিসপত্রে আমরা বাজেট বাড়িয়ে দিতে বলেছি।

‘সাধারণত গবেষণার ক্ষেত্রে যা যা জিনিস প্রয়োজনীয় সেগুলোর উপর বাজেট বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। তারপরও আলাপ আলোচনা করে যেমন আনতে পারি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক বাজেটও বাড়তে পারে। উপাচার্য বলেন, ‘আশা করছি গত অর্থ বছরের বাজেটের চেয়ে এবছর বাজেট বাড়বে৷ আমরা বাড়ানোর জন্য প্রস্তাবও করেছি। তারপর সেই বাজেট সিন্ডিকেট সভায় পাস হবে এবং চূড়ান্ত অনুমোদন পাবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘৬ সেপ্টেম্বর আমাদের সিন্ডিকেট মিটিং। মিটিং শেষে বাজেটের ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হবে।’

অর্থ ও হিসাব দপ্তরের পরিচালক কাজী নাসির উদ্দীন বলেন, ‘অর্থ দপ্তর থেকে নতুন অর্থবছরের বাজেটের সুপারিশ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে তা অর্থ কমিটিতে পেশ করা হয়েছে এবং অনুমোদন ও পেয়েছে। এখন তা সিন্ডিকেট সভায় চূড়ান্ত হওয়ার অপেক্ষায়।

‘বিগত বছর গুলোতে এ বছর বাজেট বাড়বে। আমরা ফরমেট অনুযায়ী বাজেট তৈরি করেছি। ঘাটতি বাজেটের অর্থ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের নিকট সম্পূরক বাজেট প্রস্তাব চাওয়া হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ অর্থ বছরে ১৫৭ কোটি ৮০ লাখ টাকার রাজস্ব বাজেট পাস করা হয়।

এর মধ্যে মঞ্জুরী কমিশনের বরাদ্দ ১২০ কোটি ১৫ লাখ টাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় ১৮ কোটি। ঘাটতি ২২ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।

এতে শিক্ষার্থীদের সহায়তার জন্য (দুপুরের খাবারসহ) এক কোটি টাকা, ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তির জন্য আড়াই কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। তবে বিশ্ববিদ্যালয় না খোলায় ক্যান্টিন বন্ধ থাকে। তবে করোনাকালে ৯৩৯ জন শিক্ষার্থীকে ৪৫ লাখ ৭ হাজার ২০০ টাকা শিক্ষাবৃত্তি দেয়া হয়েছে।

গত অর্থ বছরে গবেষণা খাতের জন্য বরাদ্দ ছিল দুই কোটি টাকা। যা মোট বাজেটের মাত্র প্রায় এক দশমিক ২৬ শতাংশ।

এছাড়াও যানবাহন খাতে ৭ কোটি ৯৯ লক্ষ টাকা রবাদ্দ রাখা হয়েছিল। এই টাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ১০ টি বাস কেনার কথা জানিয়েছেন সাবেক উপাচার্য। তবে কারিগরি জটিলতায় সেই কার্যক্রমটিও বন্ধ হয়ে যায়।

২০১৯-২০ অর্থবছরে ১৩২ কোটি ৭০ লাখ টাকার মূল বাজেট পাস করা হয়। পরে সংশোধিত বাজেট হয় ১২৫ কোটি ২৮ লাখ টাকা।

২০১৮-১৯ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট ১১৭ কোটি ৩২ লাখ টাকা পাস হয়।

এ বিভাগের আরো খবর