এবার করোনার টিকার নিবন্ধন করতে গিয়ে নিজেকে মৃত বলে জানলেন চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার এক ব্যক্তি।
ওই ব্যক্তির নাম আলী আহমদ। তিনি সাতকানিয়া পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইছামতীর কূল এলাকার মৃত ফয়েজুর রহমানের ছেলে।
আলী আহমদ জানান, শনিবার বিকেলে করোনাভাইরাসের টিকার নিবন্ধনের জন্য স্থানীয় একটি দোকানে গিয়ে জানতে পারেন নির্বাচন কমিশনের সার্ভারে তাকে মৃত দেখানো হচ্ছে।
আলী আহমদের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘২০১৯ সালে নির্বাচন কমিশনের তৈরি তালিকায় আমার বাবাকে মৃত দেখানোর সুপারিশ করা হয়েছিল। ওই সুপারিশটি স্থানীয় কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন দুলাল করেছেন। যার কারণে আমার বাবার বয়স্ক ভাতার আবেদন করা সম্ভব হচ্ছে না।’
সাতকানিয়া পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন দুলাল বলেন, ‘ওই সময় ৬ শতাধিক নতুন ভোটার ও ১৭৭ জন মৃত মানুষের ফরমে সই করেছিলাম। আলী আহমদ আমার পরিচিত। ভুলবশত তাকে মৃত দেখানো হয়েছে।’
সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবু তালেব বলেন, এ ধরনের ভুল সংশোধনের সুযোগ আছে। আলী আহমদ আবেদন করলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গেল মাসে ঝিনাইদহ পৌরসভার কাঞ্চননগরের আনোয়ার হোসেন টিকার নিবন্ধন করতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হন। পরে নির্বাচন অফিসে গিয়ে জানতে পারেন ভোটার তালিকায় তিনি মৃত।
একই ধরনের বিড়ম্বনায় পড়েন নেত্রকোণার মদন পৌরসভার জাহাঙ্গীরপুর গ্রামের আব্দুল আওয়াল। নির্বাচন অফিসের তথ্যে তার মৃত থাকার বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে এলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।
লালমনিরহাটে এক স্কুলশিক্ষকসহ অন্তত ১৯ জন জীবিত মানুষকে মৃত দেখিয়ে ভোটার তালিকা থেকে তাদের নাম বাদ দেয়া হয়।