চট্টগ্রামের চন্দনাইশে শোক সভায় সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় এক যুবলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
জেলা জজ আদালতের মাধ্যমে রোববার বেলা ১১টার দিকে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
চন্দনাইশের মোজাফফর নগর এলাকা থেকে শনিবার রাত ১২টার দিকে গিয়াস উদ্দীন জিকুকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিকু দোহজারী পৌরসভা যুবলীগের সাবেক সদস্য।
চন্দনাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মজনু মিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বান্দরবান পালিয়ে যাওয়ার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জিকুকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সদস্য গিয়াস উদ্দিন সুজনের করা মামলার আসামি।’
এর আগে শনিবার রাতে র্যাব-৭-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নুরুল আবছার জানান, শুক্রবার মধ্যরাতে ঢাকার ধানমন্ডি থেকে গিয়াস উদ্দিন সুজনকে ও শনিবার ভোরে চট্টগ্রামের লালখান বাজার থেকে তার সহযোগী মাঈনউদ্দিন সাঞ্জুকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা দুজন উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবুল ফয়সালের করা মামলার আসামি।
গত সোমবার সন্ধ্যায় চন্দনাইশ উপজেলার হাশিমপুর ইউনিয়নের বাগিচাহাট এলাকায় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির অভিযোগ পাওয়া যায়। এতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু আহমেদ জুনুর পক্ষের চারজন আহত হন বলে দাবি করা হয়।
এর জেরে ছাত্রলীগের এক পক্ষ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক আধ ঘণ্টার জন্য অবরোধ করে। পুলিশ তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়।
পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, একজন অবরোধের সময় ওপরের দিকে গুলি করছেন।
র্যাব জানায়, গিয়াসই সেই গুলি করা ব্যক্তি।
সংঘর্ষের ঘটনায় বুধবার রাতে যুবলীগের সাবেক নেতা গিয়াস উদ্দিন সুজন চন্দনাইশ পৌর কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র আবু তৈয়বসহ ১০ জনের নামে মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করা হয়।
পরদিন ছাত্রলীগ নেতা আবুল ফয়সাল চন্দনাইশ থানায় পাল্টা মামলা করেন। ওই মামলায় সুজনকে প্রধান আসামি করে ২১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয় আরও ২০ থেকে ২৫ জনকে।