চার মাসের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেল আরও একটি ব্যাংক। এবার অনুমোদন পাওয়া ব্যাংকটি হলো ইউনিয়ন ব্যাংক। সর্বশেষ মে মাসে অনুমোদন দেয়া হয়েছিল সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংককে।
রোববার পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ৭৯০তম কমিশন সভায় ইউনিয়ন ব্যাংকের অনুমোদন দেয়া হয়।
ইউনিয়ন ব্যাংক প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে জনসাধারণের মাঝে শেয়ার ছেড়ে ৪২৮ কোটি টাকা তোলার অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
বিএসইসির মুখপাত্র রেজাউল করিম নিউজবাংলাকে অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে এক যুগের বেশি সময় পর গত বছরের নভেম্বরে ব্যাংক খাতের কোম্পানি হিসেবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন দেয়া হয় এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংককে।
এই ব্যাংকটির আগে ২০০৮ সালে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পুঁজিবাজারে আসে।
আইপিও অনুমোদনের ক্ষেত্রে ইউনিয়ন ব্যাংকে শর্ত দেয়া হয়েছে স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্তির আগে ব্যাংকটি কোনো প্রকার লভ্যাংশ ঘোষণা, অনুমোদন বা বিতরণ করতে পারবে না।
ব্যাংকটিকে ২০২১ সালের মধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে হবে।
ব্যাংকটি পুঁজিবাজারে মোট ৪২ কোটি ৮০ লাখ শেয়ার ছাড়বে। প্রতিটি শেয়ারের অভিহিত মূল্য বা ফেসভ্যালু হবে ১০ টাকা। উত্তোলন করা টাকা দিয়ে ব্যাংকটি এসএমই ও প্রজেক্ট অর্থায়ন, সরকারি সিকিউরিটিজ ক্রয়, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ ও আইপিওর করতে খরচ করবে।
২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া নেট অ্যাসেটভ্যালু ১৬ টাকা ৩৮ পয়সা। শেয়ারপ্রতি আয় ১ টাকা ৭৭ পয়সা। বিগত ৫ বছরের ভারিত গড় হারে শেয়ারপ্রতি আয় ১ টাকা ৮২ পয়সা।
ব্যাংকটিকে পুঁজিবাজারে আনতে ইস্যু ব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ করেছে প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এবং ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।
কমিশন সভায় এসএমই সেক্টরে দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের জন্য কৃষিবিদ ফিড লিমিটেডকে ২২ কোটি টাকা উত্তলনের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। কোম্পানিটি তার ২ কোটি ২০ লাখ শেয়ার ছেড়ে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করবে।
লংকাবাংলা ফিন্যান্স লিমিটেডকে ৩০০ কোটি টাকার নন কনর্ভাটেবল জিরো কুপন বন্ড, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংককে ৫০০ কোটি ও ইসলামী ব্যাংককে ৮০০ কোটি টাকার পারপিচ্যুয়াল বন্ড ছাড়ার অনুমোদন দেয়া হয়েছে।