বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সিনহা হত্যা: দ্বিতীয় দফায় শুরু সাক্ষ্য গ্রহণ

  •    
  • ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১০:৪৬

জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারপক্ষের কৌঁসুলি ফরিদুল ইসলাম জানান, সিনহা হত্যা মামলার ৩ থেকে ১৫ নম্বর সাক্ষীরা আদালতে উপস্থিত হয়ে দ্বিতীয় দফায় সাক্ষ্য দেবেন। এ মামলার মোট সাক্ষী ৮৩ জন।

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার দ্বিতীয় দফার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে।

কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় সাক্ষীরা হাজির হয়েছে বলে আদালতের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

মামলার প্রধান আসামি সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ আসামিকেও সকালে আদালতে নেয়া হয়েছে।

এই ধাপে রোববার থেকে শুরু করে টানা চার দিন সাক্ষ্য নেয়া হবে। সাক্ষ্য দেয়ার কথা রয়েছে ১৩ জনের।

এর আগে ২৩ থেকে ২৫ আগস্ট মামলার প্রথম সাক্ষী মেজর সিনহার বোন ও মামলার বাদী শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌসী এবং হত্যাকাণ্ডের অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী সাইদুল ইসলাম সিফাত আদালতে উপস্থিত হয়ে সাক্ষ্য দেন।

কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারপক্ষের কৌঁসুলি ফরিদুল ইসলাম জানান, দ্বিতীয় দফায় সিনহা হত্যা মামলার ৩ থেকে ১৫ নম্বর সাক্ষীরা আদালতে উপস্থিত হয়ে সাক্ষ্য দেবেন। এ মামলার মোট সাক্ষী ৮৩ জন। সবার সাক্ষ্য গ্রহণে ছয় মাসেরও বেশি সময় লাগবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এর আগে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল সাক্ষ্য গ্রহণের এ দিন ধার্য করেন।

সরকারপক্ষের কৌঁসুলি ফরিদুল আরও জানান, গত ২৩ থেকে ২৫ আগস্ট বাদীপক্ষের ১ থেকে ১৫ নম্বর সাক্ষীর সাক্ষ্য নেয়ার কথা থাকলেও মাত্র দুজনের সাক্ষ্য নেয়া সম্ভব হয়।

মামলার ১৫ সাক্ষীরা হলেন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌসী, সিনহার সঙ্গী সহিদুল ইসলাম সিফাত ও শিপ্রা দেবনাথ, মো. আলী, আবদুল হামিদ, মো. ইউনুছ, ফিরোজ মাহমুদ,‌‌ মহিবুল্লাহ, মো. আমিন, মো. কামাল হোসেন ও শওকত আলী।

এ ছাড়া রয়েছেন রামু সেনা নিবাসের সার্জেন্ট আইয়ুব আলী, কক্সবাজার সদর হাসপাতালের দুই চিকিৎসক শাহীন আবদুর রহমান ও রনধীর দেবনাথ এবং হাফেজ জহিরুল ইসলাম।

যেভাবে নিহত হন সিনহা

২০২০ সালের ৩১ জুলাই টেকনাফের শামলাপুর চেকপোস্টে মেজর সিনহা নিহত হন পুলিশের গুলিতে। টেকনাফ থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ লিয়াকতসহ ৯ জনকে আসামি করে মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌসী।

পরে গ্রেপ্তার করা হয় ঘটনার সময় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের তিন সদস্যসহ পুলিশের তিন সোর্সকে।

চার মাসেরও বেশি সময় তদন্ত শেষে গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেয় তদন্তকারী সংস্থা র‍্যাব।

এর মধ্যে ১২ আসামি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। গত ২৭ জুন মামলার ১৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত।

এ বিভাগের আরো খবর