স্কুলশিশুদের করোনাভাইরাস প্রতিরোধী মডার্না ও ফাইজারের টিকা দেয়ার পরিকল্পনা করেছে সরকার।
রাজধানীর তেজগাঁও মহিলা উচ্চ বিদ্যালয়ে নার্সিং মিডওয়াইফারি পরীক্ষা পরিদর্শন শেষে শনিবার এ সিদ্ধান্তের কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
স্কুলের শিক্ষার্থীরা কোন কোম্পানির টিকা পাবে, তা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে জানতে চান এক সাংবাদিক।
জবাবে তিনি বলেন, ‘বয়সের একটা বিষয় আছে। শিক্ষার্থীদের বয়স ১৮ বছরের ওপরে হলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী যেকোনো ধরনের টিকা দেওয়া যাবে। ১৮ বছরের নিচে যেসব শিক্ষার্থী আছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা ও অন্যান্য দেশে যেভাবে দেয়া হচ্ছে, বিশেষ করে আমেরিকাতেও ব্রিটেনে ফাইজার ও মডার্নার টিকা শিশুদের দিচ্ছে।
‘১২ বছর বয়সের উপরে যারা আছে, তাদেরকে এই টিকা দেয়া হয়েছে। বাচ্চাদের টিকা কার্যক্রম পরিচালনা শুরু হলে তাদের পদ্ধতিটা আমাদের ফলো করতে হবে।’
অনেক দেশে ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সীদের ফাইজারের টিকা প্রয়োগ চলছে। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) শিশুদের এ টিকা প্রয়োগের অনুমোদন দিয়েছে। এ ছাড়া ফাইজারের টিকা অনেক দেশ ব্যবহার করছে।
কানাডা ও যুক্তরাজ্য সম্প্রতি ১২ বছর বয়সীদের এ টিকা দেয়া শুরু করে। বাংলাদেশেও এ টিকা দেয়ার পরিকল্পনা করেছে সরকার।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমরা মেডিক্যাল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সবগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার জন্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ১৩ই সেপ্টেম্বরের মধ্যে সবগুলো প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করার জন্য চেষ্টা করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘এমবিবিএস কার্যক্রম কোনো দিনও বন্ধ ছিল না। করোনার মধ্যে আমরা অনলাইনে ক্লাস ও শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে সশরীরে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।’