সিলেটের বালাগঞ্জ, দক্ষিণ সুরমা ও ফেঞ্চুগঞ্জে একযোগে শুরু হয়েছে সংসদ সদস্য নির্বাচনের ভোট।
এ তিন উপজেলা নিয়ে সিলেট-৩ আসন। দুই দফা পিছিয়ে শনিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে ভোটাভুটি।
দক্ষিণ সুরমার বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, তেমন ভোটার নেই কোথাও। ভোটকেন্দ্র প্রায় ফাঁকাই।
উপজেলার কুচাই ইউনিয়নের জান আলী শাহ প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, ভোট দিতে এসেছেন হাতেগোনা কয়েকজন।
সেখানে উপস্থিত নৌকা প্রতীকের এজেন্ট মতিউর রহমান বলেন, ‘ভোর থেকে বৃষ্টি হওয়ায় ভোটার কিছুটা কম। লোকজন আসবে আস্তে-ধীরে।’
এ কেন্দ্রের লাঙ্গল প্রতীকের এজেন্ট ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘ঘুম থেকে দেরিতে উঠে মানুষ। তাই আসতে দেরি হবে। তবে ভোটার আসবে।’
ইভিএমে প্রথমবারের মতো ভোট দিয়েছেন প্রবীণ মজির উদ্দিন।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘জীবনে মেশিন দিয়া পয়লা ভোট দিলাম। সহজেই ভোট হয়া গেছে, ঝামেলা হয় নাই।’
অন্যান্য কেন্দ্র থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, ভোটার সমাগম তেমন নেই। তবে নির্বাচনি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বেলা বাড়লে ভোটার বাড়বে।
নির্বাচন কমিশনের হিসাবে তিন উপজেলায় ভোট দেয়ার কথা ৩ লাখ ৫২ হাজার মানুষের। ১৪৯টি কেন্দ্রে ইভিএমে হচ্ছে ভোট; চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
এই আসনের সংসদ সদস্য হতে লড়ছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব, জাতীয় পার্টির আতিকুর রহমান আতিক, বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শফি আহমদ চৌধুরী এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া।
(বাঁ থেকে) আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব, জাতীয় পার্টির আতিকুর রহমান আতিক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শফি আহমদ চৌধুরীকরোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চলতি বছরের ১১ মার্চ সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর মৃত্যু হয়। এরপর ১৫ মার্চ আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
তফসিল ঘোষণার পর ৯০ দিন পেছালেও ২৮ জুলাই ভোটগ্রহণের দিন ধার্য করা হয়। তবে, করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ভোটের দুই দিন আগে ২৬ জুলাই এ আসনের নির্বাচন ৫ আগস্ট পর্যন্ত স্থগিত করে হাইকোর্ট।
এরপর গত ২৩ আগস্ট নির্বাচন কমিশন ভোটের নতুন তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করে।