জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে রাজধানীর কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচের লেকে মাছের যত পোনা ছাড়া হয়েছিল, তার একটি অংশ মারা গেছে এরই মধ্যে।
গত বুধবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম এই পোনা অবমুক্ত করেন। স্থানীয়রা জানান, সেদিন থেকেই মাছ মরতে শুরু করে।
দুই দিন পর শুক্রবার সকালে লেকে গিয়ে শত শত মাছের পোনা মরে থাকতে দেখা যায়। পচা মাছ থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল।
লেক রক্ষণাবেক্ষণ করেন, এমন একজনের ধারণা, সেখানে বাস ও ট্রাক ধোয়া হয়। ইঞ্জিন অয়েল আর অন্যান্য কারণে যে দূষণ ছড়ায়, তার কারণে মাছগুলো মারা যেতে পারে। তিনি বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। এরপর লেক ঘিরে অবৈধভাবে গড়ে তোলা ট্রাক স্ট্যান্ড সরিয়ে দেয়া হয়েছে।
লেকের মাছ দেখাশোনা করেন তাজবর আলী। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মেয়র আইছিল গত বুধবার। কাউন্সিলরও আছিল। আমগর এলাকার নেতা-ফেতারা মিইল্যা মাছ ছাইরা থুইয়া গেছে। আমি বেশ কিছু ধইরা পাহারা দেই, কেউ যেন মাছ ধইরা নিতে না পারে।’
মাছ মরার কারণ কী- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘মাছ মরার দুইটা কারণ। প্রথম হইল খালে লোকজন গোসল করে। ছাড়ার নিয়ম ছোড পোনা। কিন্তু দেহা গেছে বড় বড় মাছ ছাড়ছে। দুই নাম্বার কারণ হইল, লেকের পাশ দিয়া বাস আর মিনিট্রাক রাহে। এইগুলা প্রতিদিন রাইতে গোসল করায় লেকে। গাড়ির মবিল-তেল, সব লেকে পড়ে। এ কারণেই মাছগুলা মইরা গেছে।’
আপনার কাজ তো বাধা দেয়া, সেটা দেন না কেন?- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমি একলা চৌহিদারি করি। কয়জনকে ফিরামু? এক মাথায় গেলে আরেক মাথায় নাইম্যা যায় লোকজন। গাড়ির যন্ত্রপাতি ধোয়।
‘তবে মাছ মরার পরের দিন এলাকার কমিশনার ট্রাক স্ট্যান্ড উডায় দিছে। কিন্তু হেতে তো লাভ হয় নাই। যা মরার মইরা গেছে।’