হবিগঞ্জের লাখাইয়ে হাওরে নৌকাভ্রমণে যাওয়া নববধূকে ধর্ষণের ঘটনায় আরও ২জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃ্ঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
উপজেলার বিভিন্ন জায়গাতে বৃহস্পতিবার ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৯ ও লাখাই থানা পুলিশ।
বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত মামলার তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে র্যাব দুইজনকে ও পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অভিযান শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিস্তারিত কিছু বলা যাবে না।’
এর আগে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এ ৮ জনকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা করেন ওই নারীর স্বামী।
বাদীপক্ষের আইনজীবী হাফিজুল ইসলাম জানান, বিচারক জিয়াউদ্দিন মাহমুদ বিষয়টি আমলে নিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এফআইআর করতে লাখাই থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, এক মাস আগে বিয়ে হয় মামলার বাদীর। স্ত্রীকে নিয়ে ২৫ আগস্ট দুপুরে বাড়ির পাশের হাওরে নৌকাভ্রমণে যান তিনি। নৌকায় নবদম্পতি, তাদের এক বন্ধু ও মাঝি ছিলেন।
এ সময় আরেকটি নৌকায় গ্রামের কয়েকজন যুবক তাদের গতি রোধ করেন। তাদের নৌকায় উঠে যুবকরা তাকে ও তার বন্ধুকে মারধর করে আটকে রাখেন। তার স্ত্রীকে অন্য নৌকায় তুলে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ সময় মোবাইল ফোনে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে তারা।
বাদী জানান, ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে জানালে ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেন তারা। এ কারণে বিষয়টি এত দিন গোপন রেখেছিলেন।
তবে ঘটনার চার দিন পর ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে বাদীর কাছে ৯ লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা না দেয়ায় এলাকার কয়েকজনের কাছে ভিডিওটি ছড়িয়েও দেন তারা। এর মধ্যে তার স্ত্রীর শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকে। বুধবার স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) নাদিরা বেগম বলেন, ‘ধর্ষণের অভিযোগে এক নারী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন কি না তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে বোঝা যাবে না।’