বড় মাইক্রোবাসের ব্যবহার বাড়াতে এই যানের ওপর সম্পূরক শুল্ক কমানো হয়েছে। করোনাকালীন দেশে সংক্রমণ রোধে ও গাদাগাদি করে যাত্রী পরিবহন নিরুৎসাহিত করতে এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এনবিআরের এক আদেশে বৃহস্পতিবার এ শুল্কহার কমানো হয়।
বর্তমানে মাইক্রোবাস আমদানিতে অন্যান্য শুল্কের সঙ্গে ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আদায় করা হয়। এটি কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছে।
এতে বলা হয় চালকসহ যেসব মাইক্রোবাসের সিটের সংখ্যা ১৫, সেসব মাইক্রোবাস আমদানির ক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্ক কোনোভাবেই ২০ শতাংশের বেশি হবে না। যা আগে ছিল ৩০ শতাংশ।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে ১৮০১ থেকে ২০০০ সিসি পর্যন্ত হাইব্রিড মাইক্রোবাসের সম্পূরক শুল্ক ৪৫ থেকে কমিয়ে ৩০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়।
আর ২০০১ বা এর বেশি সিসির হাইব্রিড মাইক্রোবাসের সম্পূরক শুল্ক ৬০ থেকে কমিয়ে ৪৫ শতাংশ করা হয়।
এ ছাড়া, বাজেটে ৭ থেকে ৯ আসনের মাইক্রোবাসের সম্পূরক শুল্ক কমানো হলেও দেশে বেশি জনপ্রিয় ১৫ আসন বা এর চেয়ে বড় মাইক্রোবাস। নতুন অর্থবছরের বাজেটে এমন বড় মাইক্রোবাসের ওপর শুল্ক কমানো হয়নি।
এখন গাড়ি আমদানিকারকদের দাবির মুখে বাজেট ঘোষণার তিন মাস পর ১৫ সিটের মাইক্রোবাসের সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ কমানো হলো।
এনবিআরের কর্মকর্তারা বলেছেন, দেশে ১৫ সিটের মাইক্রোবাসের ব্যবহার জনপ্রিয় হচ্ছে। শুল্কহার কমানোর ফলে এই গাড়ি আমদানি সহজলভ্য হবে এবং দাম কমবে।