বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সরকারি পৌনে ৪ লাখ শূন্য পদ পূরণের নির্দেশ

  •    
  • ২ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৮:১৮

‘বিভিন্ন ক্যাটাগরির সরকারি চাকরিতে (বিসিএস ছাড়া) সরাসরি নিয়োগের শূন্য পদগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে পূরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’

করোনার মধ্যে কর্মসংস্থানের বড় সুযোগ তৈরি হতে যাচ্ছে। সরকারি চাকরিতে শূন্য পদগুলো দ্রুত পূরণে করতে সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও এর অধীন অধিদপ্তর, পরিদপ্তর, দপ্তর এবং সংবিধিবদ্ধ, স্বায়ত্তশাসিত ও জাতীয়কৃত প্রতিষ্ঠানের শূন্য পদ পূরণে নির্দেশ দিয়ে বৃহস্পতিবার চিঠি পাঠিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

এতে বলা হয়েছে, ‘বিভিন্ন ক্যাটাগরির সরকারি চাকরিতে (বিসিএস ছাড়া) সরাসরি নিয়োগের শূন্য পদগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে পূরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’

এই নির্দেশ বাস্তবায়িত হলে প্রায় পৌনে চার লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। কারণ, সরকারি চাকরিতে এই পরিমাণ পদ বর্তমানে খালি রয়েছে।

সরকারি চাকরির বয়সসীমায় ২১ মাস ছাড়

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সরকারি চাকরির আবেদন করার বয়সসীমা যাদের শেষ হয়ে গেছে বা শেষ হতে যাচ্ছে, তাদের জন্য ২১ মাস ছাড় দিয়েছে সরকার। গত ১৯ আগস্ট সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিব বরাবর এ-সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

চিঠিতে করোনা মহামারির কারণে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিতে না পারা সরকারের সব প্রতিষ্ঠানকে এ বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সব বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীদের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ২৫ মার্চ ২০২০ নির্ধারণ করার নির্দেশ দেয়া হয়।

প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আছে সব মন্ত্রণালয় বা বিভাগ এবং এর অধীনস্থ অধিদপ্তর, পরিদপ্তর, দপ্তরগুলো। এ ছাড়া আছে সংবিধিবদ্ধ, স্বায়ত্তশাসিত, জাতীয়করণ করা প্রতিষ্ঠানগুলো। তবে বিসিএস এ সিদ্ধান্তের আওতাবহির্ভূত।

করোনা মহামারির কারণে গত বছরের মার্চ থেকে সরকারি চাকরিতে সব ধরনের নিয়োগ স্থগিত ছিল। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। তাদের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে এই ছাড় দিল সরকার।

এ সিদ্ধান্তের ফলে গত বছরের ২৫ মার্চের পর থেকে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যাদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ ছাড়িয়ে গেছে বা যাচ্ছে, তারা এই ছাড়ের সুবিধা পাবেন।

শূন্য পদ পূরণের নির্দেশের পাশাপাশি বয়স সীমা ২১ মাস বাড়ানোর বিষয়ে যে আদেশ দেয়া হয়েছে, তাও প্রতিপালন করতে বলা হয়েছে

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া চিঠিতে, এই বিষয়টি আবার মনে করিয়ে দেয়া হয়েছে।

বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে ৩২ বছর। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হয়। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদগুলোতে নিয়োগের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরের।

করোনা মহামারির প্রথম দফায় সাধারণ ছুটির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত চাকরিপ্রার্থীদের বয়সের ক্ষেত্রে ছাড় দেয় সরকার। তখন গত ২৫ মার্চ যাদের বয়স ৩০ বছর পূর্ণ হয়েছিল তাদের পরবর্তী ৫ মাস, অর্থাৎ আগস্ট পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে আবেদনের সুযোগ দেয়া হয়।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ হঠাৎ আবার বেড়ে গেলে এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে ১০ আগস্ট পর্যন্ত চলে বিধিনিষেধ। ফলে এ সময়ের মধ্যে মন্ত্রণালয়, বিভাগ কিংবা সংস্থাগুলো চাকরির জন্য বিজ্ঞপ্তি দিতে পারেনি।

করোনার কারণে অন্য সবকিছুর মতো প্রভাব পড়েছে নিয়োগ পরীক্ষাগুলোতেও। এ সময়ে সরকারি চাকরির তেমন কোনো নতুন সার্কুলার নেই। ফলে চাকরিতে প্রবেশে যাদের বয়স প্রান্তিক সীমায় ঠেকেছে তারা পড়েছেন দুশ্চিন্তায়।

সরকারি চাকরিতে শূন্য পদ

সরকারি চাকরিতে মোট শূন্য পদের সংখ্যা তিন লাখ ৬৯ হাজার ৪৫১টি।

এর মধ্যে প্রথম শ্রেণিতে (৯ম গ্রেড ও তদূর্ধ্ব) শূন্য ৫৫ হাজার ৩৮৯টি। দ্বিতীয় শ্রেণিতে (১০ম গ্রেড) ৪৯ হাজার ১৪২টি, তৃতীয় শ্রেণিতে (১১ থেকে ১৬তম গ্রেড) এক লাখ ৭৭ হাজার ৭৭৯টি ও চতুর্থ শ্রেণিতে (১৭ থেকে ২০তম গ্রেড) ৮৭ হাজার ১৪১টি পদ শূন্য রয়েছে।

২০২০ সালের ১৯ নভেম্বর জাতীয় সংসদে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে শূন্য পদের পরিসংখ্যান তুলে ধরে এ তথ্য জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

সেদিন তিনি বলেন, সরকারি অফিসে শূন্যপদে লোক নিয়োগ একটি চলমান প্রক্রিয়া। পদ পূরণের লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

কিছু ক্ষেত্রে আদালতে মামলা থাকায় ও যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থী না পাওয়ায় কিছু শূন্যপদ পূরণ করা যায় না বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।

এ বিভাগের আরো খবর