হবিগঞ্জের লাখাইয়ে হাওরে নৌকাভ্রমণে যাওয়া নববধূকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সে সময় তার স্বামীকে আটকে মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।
তবে ঘটনাটি গত ২৫ আগস্টের হলেও এখন পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা বা অভিযোগ করেনি ওই দম্পতি বা তাদের পরিবারের কেউ। ওই নারী বুধবার বিকেলে সদর হাসপাতালে ভর্তি হলে পুলিশের কাছে খবর পৌঁছায়। সদর থানার পুলিশ সদস্যরা ওই দম্পতির সঙ্গে কথা বলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
সদর হাসপাতালে গিয়ে কথা হয় ওই নারীর স্বামীর সঙ্গে। তিনি বলেন, এক মাস আগে তাদের বিয়ে হয়। গত ২৫ আগস্ট দুপুরে বাড়ির পাশের ওই হাওরে তারা নৌকাভ্রমণে যান। নৌকায় নবদম্পতি, তাদের এক বন্ধু ও মাঝি ছিলেন।
ওই ব্যক্তি অভিযোগ করেন, সে সময় আরেকটি নৌকায় করে গ্রামের পাঁচ যুবক তাদের নৌকার গতি রোধ করেন। তাদের নৌকায় উঠে ওই যুবকরা তাকে ও তার বন্ধুকে মারধর করে আটকে রাখে। তার স্ত্রীকে ওই নৌকায় তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে। মোবাইল ফোনে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে রাখা হয়।
ওই নারীর স্বামী জানান, ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে জানালে ওই ভিডিও ছড়িয়ে দেয়া হবে বলে হুমকি দেন যুবকরা। এ কারণে বিষয়টি এত দিন গোপন করে রেখেছিলেন তিনি।
তবে ঘটনার চার দিন পর ওই যুবকরা ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা দাবি করে বলে জানান নববধূর স্বামী।
তিনি বলেন, টাকা না দেয়ায় এলাকার কয়েকজনের কাছে ভিডিওটি ছড়িয়ে দেয় ওই যুবকরা। এর মধ্যে তার স্ত্রীর শারীরিক অবস্থাও খারাপ হতে থাকে। এরপর তিনি স্ত্রীকে বুধবার হাসপাতালে ভর্তি করেন।
হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) নাদিরা বেগম বলেন, ‘ধর্ষণের অভিযোগে এক নারী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে সে ধর্ষণের শিকার হয়েছে কি না তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে বোঝা যাবে না।’
এ বিষয়ে লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুর রহমান বলেন, ‘আমরা কোনো লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ পাইনি। অন্য মাধ্যমে বিষয়টি সম্পর্কে জেনে ভিকটিমের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। ভিকটিম হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখছি।’