বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফাইজার-মডার্নার টিকা সংরক্ষণে দুশ্চিন্তা দূর হচ্ছে

  •    
  • ২ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০৮:৩১

নিম্ন তাপমাত্রার টিকা সংরক্ষণে বাংলাদেশকে ২৬টি আলট্রা লো ফ্রিজার দিচ্ছে ইউনিসেফ। এসব ফ্রিজারে ৯০ লাখ ডোজ টিকা সংরক্ষণ করা যাবে।

বিশ্বজুড়ে ন্যায্যতার ভিত্তিতে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা বণ্টনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগে গড়ে তোলা প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্সের আওতায় পাওয়া ফাইজার ও মডার্না টিকা সংরক্ষণের যে দুশ্চিন্তা ছিল, তা দূর হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, এসব টিকা সংরক্ষণে বিশেষ ফ্রিজারের ব্যবস্থা হচ্ছে।

নিম্ন তাপমাত্রার টিকা সংরক্ষণে বাংলাদেশকে ২৬টি আলট্রা লো ফ্রিজার দিচ্ছে ইউনিসেফ। এসব ফ্রিজারে ৯০ লাখ ডোজ টিকা সংরক্ষণ করা যাবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সদস্যসচিব শামসুল হক বুধবার নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘অতি নিম্ন তাপমাত্রার করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা সংরক্ষণের জন্য ২৬টি ফ্রিজার দেশে আসবে। আমরা ইতিমধ্যে ২৪টি ফ্রিজার হাতে পেয়েছি। আজ আরও দুটি হাতে পাব।’

ইউনিসেফ বাংলাদেশের ভ্যারিফায়েড ফেসবুক পেজে বুধবার সকালে এক পোস্টে বাংলাদেশকে টিকা সংরক্ষণে ফ্রিজার দেয়ার কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় এই ফ্রিজারগুলো দেয়া হয়েছে বাংলাদেশকে। এই ২৬টি ফ্রিজারে প্রায় ৯০ লাখ টিকা সংরক্ষণ করা যাবে।

মূলত ফাইজারের টিকা সংরক্ষণ করতে মাইনাস ৬০ থেকে ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার ফ্রিজার দরকার হয়। এই ফ্রিজার পাওয়ায় কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় পাওয়া ফাইজার টিকা সংরক্ষণে অসুবিধা অনেকটাই দূর হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, দেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে চার ধরনের টিকা ব্যবহার করা হচ্ছে। গোড়াতে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দিয়ে শুরু হয় গণটিকা কার্যক্রম। ধাপে ধাপে মডার্না, ফাইজার, সিনোফার্ম এসেছে।

অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও সিনোফার্মের টিকা সংরক্ষণ করতে হয় প্লাস ২ ডিগ্রি থেকে ৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, এসব টিকা সংরক্ষণ করা হচ্ছে বেক্সিমকো, ইনসেপ্টা ও বিএসডিসি ওয়্যার হাউসে। এসব হাউসে সব মিলিয়ে তিন কোটি টিকা সংরক্ষণ করা সম্ভব।

মডার্নার টিকা মাইনাস ২৫ সেন্টিগ্রেডে রাখা হয়। তবে এটিকে একবার গলানোর পর ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে সরক্ষণ করা যায় এক মাস পর্যন্ত। এই টিকা দেশে এক কোটি ৫০ লাখ ডোজ সংরক্ষণ করা যাবে।

এ ছাড়া ফাইজার মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় সংগ্রহ করতে হয়। আর এটি গলানোর পর প্লাস ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে সংরক্ষণ করা সম্ভব। দেশে বর্তমানে এই টিকার ৩৫ লাখ ডোজ সংরক্ষণের সক্ষমতা আছে। ২৬টি ফ্রিজার যোগ হওয়ার পর এই সক্ষমতা দাঁড়াবে ১ কোটি ২৫ লাখে ডোজে।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নেতৃত্বে গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশনসের গড়া প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্স থেকে ৩১ আগস্ট আমরা একটি মেইল পেয়েছি, সেখানে আমাদের অ্যাস্ট্রাজেনেকা, মডার্না, জনসন অ্যান্ড জনসনসহ সিনোফার্মের টিকা দেয়ার কথা জানিয়েছে।

‘কোন টিকা কতটুকু পরিমাণ আমরা নিতে চাই, সে বিষয়ে আগামী ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আমাদের আগ্রহের কথা জানাতে বলা হয়েছে। আমরা সব টিকার চাহিদা দেব। কারণ আমাদের এখন টিকা সংরক্ষণের সক্ষমতা রয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর