এবার টিকা নিতে এসে নিজেদের মৃত বলে জানলেন ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের দুই ব্যক্তি। ভোটার তালিকা সংশোধন করতে এখন তারা ঘুরছেন অফিস থেকে অফিসে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বলছেন, আবেদন পেলে দ্রুত তাদের সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেয়া হবে।
ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার ওই দুই ব্যক্তি হলেন মোফাজ্জল হোসেন ও শিপন মিয়া। তারা কৃষি কাজ করেন।
গেল মাসে ঝিনাইদহ পৌরসভার কাঞ্চননগরের আনোয়ার হোসেন টিকার নিবন্ধন করতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হন। পরে নির্বাচন অফিসে গিয়ে জানতে পারেন ভোটার তালিকায় তিনি মৃত।
একই ধরনের বিড়ম্বনায় পড়েন নেত্রকোণার মদন পৌরসভার জাহাঙ্গীরপুর গ্রামের আব্দুল আওয়াল। নির্বাচন অফিসের তথ্যে তার মৃত থাকার বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে এলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।
লালমনিরহাটে এক স্কুলশিক্ষকসহ অন্তত ১৯ জন জীবিত মানুষকে মৃত দেখিয়ে ভোটার তালিকা থেকে তাদের নাম বাদ দেয়া হয়।
বুধবার সকালে মোবাইল ফোনে শিপন মিয়ার সঙ্গে কথা বলেন নিউজবাংলার প্রতিবেদক। তিনি জানান, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পেয়েছিলাম ২০০৮ সালে। আগে কখনো জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহারের প্রয়োজন পড়েনি। ভোটের সময় পরিচয়পত্র সঙ্গে থাকলেও কেউ সেটি দেখতে চাননি।
তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি করোনার টিকা নেয়ার জন্য নাম নিবন্ধন করতে স্থানীয় কম্পিউটার কম্পোজ ও অনলাইন সেবার দোকানে যাই। নিবন্ধন করার সময় জানতে পারি মৃতের তালিকায় আমার নাম লেখা রয়েছে। জীবিত থেকেও সরকারি তালিকায় মৃত আমি।’
মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘আমি ২০১৩ সালে জাতীয় পরিচয়পত্র পেয়েছি। এরপর থেকে কোনো প্রয়োজন পড়েনি কার্ডটির। সম্প্রতি টিকার নিবন্ধন করতে গিয়ে নিজেকে মৃত বলে জানতে পারি।
‘কাগজপত্রে মৃত থেকে জীবিত হতে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে বলা হয়েছে, পরিচয়পত্রে কোনো রকম সংশোধন ঢাকার নির্বাচন কমিশন কার্যালয় ছাড়া সম্ভব নয়।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহাবুবুল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ভোটার তালিকা সংশোধনের সময় ভুল হতে পারে। দ্রুত এই ভুল সংশোধনের সুযোগ আছে। এজন্য তাদেরকে আবেদন করতে হবে। আবেদনটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য উদ্যোগ নেব।’