বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পরীমনির সঙ্গে হাত মিলিয়ে ধন্য মুদিদোকানি জিল্লুর

  •    
  • ১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৩:৩৪

পরীমনিকে সামনে থেকে দেখার অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে জিল্লুর রহমান বলেন, ‘এত মানুষের মাঝে তাকে দেখতে পেরে মনে হয়েছে আকাশের চাঁদ হাতের কাছে এসেছে। বাস্তবে দেখে অনেক বেশি ভালো লেগেছে, যেটা ভাষায় বোঝানো যাবে না।’

কাশিমপুর কারাগারের সামনেই মুদি দোকান জিল্লুর রহমানের। সিনেমায় অনেক আগে থেকেই পরীমনিকে দেখলেও কখনও সামনা-সামনি দেখেননি। পরীমনিকে যেদিন কাশিমপুর কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়, সেদিন থেকেই তাকে দেখার চেষ্টায় ছিলেন জিল্লুর রহমান।

মনের কোণে জমানো পরীমনিকে দেখার সেই বাসনা পূরণ হয়েছে জিল্লুর রহমানের। বুধবার দেখতে পেয়েছেন পরীমনিকে। শুধু দেখা নয়, হাতে হাত মেলাতে পেরেছেন জিল্লুর রহমান।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘আমি পরীমনির ভক্ত। পরীমনি জেলখানায় আসার পর থেকেই আকাঙ্ক্ষা ছিল তাকে দেখব। যেকোনো উপায়ে হোক, আজ আমি তার কাছাকাছি গিয়ে তার সাথে হাত মেলাতে পেরেছি। এ জন্য আমি নিজেকে অনেক ধন্য মনে করছি।’

মাদক মামলায় গ্রেপ্তারের ২৭ দিন পর জামিনে ছাড়া পেয়ে বুধবার গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে বনানীর বাসায় ফেরেন পরীমনি।

সকাল সাড়ে ৯টার দিকে যখন পরীমনি কাশিমপুর কারাগার ছাড়েন তখন তাকে দেখতে উৎসুক জনতা ভিড় করেন কারাগারের সামনে। সেই ভিড়েই ছিলেন মুদিদোকানি জিল্লুর রহমান।

তিনি বলেন, ‘আমি কারাগারের সামনের স্থানীয় দোকানদার। সেই হিসেবে কারাগারে সব সময় যাওয়া-আসা আছে, কারাগারের সাথে আমি সম্পৃক্ত।’

পরীমনিকে সামনে থেকে দেখার অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে জিল্লুর রহমান বলেন, ‘এত মানুষের মাঝে তাকে দেখতে পেরে মনে হয়েছে আকাশের চাঁদ হাতের কাছে এসেছে। বাস্তবে দেখে অনেক বেশি ভালো লেগেছে, যেটা ভাষায় বোঝানো যাবে না।’

ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা পরীমনিকে বুধবার দেখতে কাশিমপুর কারাগারের সামনে অনেক দূর-দূরান্ত থেকে তার ভক্তরা জড়ো হয়েছিলেন।

সেখানেই পরীমনিকে এক নজর দেখতে এসেছিলেন কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া হৃদয়। রুপালি পর্দায় পরীমনির অভিনয় দেখে তার ভক্ত বনে যান হৃদয়। সেই থেকে পরীমনিকে একনজর সামনে থেকে দেখার ইচ্ছে ছিল তার।

তবে কারাগারের সামনে আসলেও তিনি পরীমনিকে দেখতে পাননি। কারা ফটকে পৌঁছাতে দেরি হওয়ায় পরীমনিকে সামনে থেকে দেখার ইচ্ছা পূরণ হয়নি তার। হৃদয়ের চোখেমুখে ছিল পরীকে না দেখতে পাওয়ার সেই আক্ষেপ।

নিউজবাংলাকে হৃদয় বলেন, ‘পরীমনির সাথে মিট করতে (দেখা করতে) চাইছিলাম। কিন্তু আইসা তাকে ধরতে পারি নাই, চলে গেছে পরীমনি।’

পরীমনির মামলা ও বিচার প্রসঙ্গে হৃদয় বলেন, ‘আইনের বিষয়গুলো আমাদের চেয়ে আইনের লোকজন ভালো বুঝে। তারা যেটা ভালো মনে করেছে সেটাই রায় দিয়েছে। তবে হয়তো তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও ষড়যন্ত্র হতে পারে।’

এ বিভাগের আরো খবর