গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা, ধলেশ্বরী ও ঝিনাই নদীর পানি আরও বেড়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে টাঙ্গাইলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম জানান, যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষাবাঁধ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪১ সেন্টিমিটার, ধলেশ্বরীর পানি এলাসিন পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার এবং ঝিনাই নদীর পানি বিপৎসীমার ৬৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তিন নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় টাঙ্গাইল জেলার বিভিন্ন উপজেলার নতুন নতুন এলাকা বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। ওই সব এলাকায় দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন।
পানিতে তলিয়ে আছে বিস্তীর্ণ এলাকার ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, রাস্তাঘাটসহ অন্যান্য স্থাপনা। মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় জীবনযাপন করছে। অনেক পরিবার উঁচু এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে।
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম জানান, নদী ভাঙনরোধে কোথাও কোথাও অস্থায়ী ভিত্তিতে কাজ চলমান রয়েছে। বন্যা শেষে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক ড. আতাউল গনি জানান, বন্যাকবলিতদের জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ পাওয়া গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের তালিকা করে তা বিতরণের কাজ চলমান রয়েছে।