বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

উৎকণ্ঠা কাটিয়ে স্বস্তি ফিরল পুঁজিবাজারে

  •    
  • ৩১ আগস্ট, ২০২১ ১৪:৪৫

আগের তিন কর্মদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক কমেছিল মোট ৫৯ পয়েন্ট। আর সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবসে বেড়েছে ৪৫ পয়েন্ট। তবে এক পর্যায়ে সূচক বেড়েছিল ৬০ পয়েন্টে। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে আরও একটি কারণে। শেয়ার মূল্য বাড়ার পাশাপাশি লেনদেন আবার বেড়ে দুই হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছি। ১৬ কর্মদিবস পর রোববার লেনদেন প্রথমবারের মতো দুই হাজার কোটি টাকার নিচে নেমে এসেছিল। সেটি আবার ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।

৪ এপ্রিলের পর প্রথমবারের মতো টানা তিন দিন সূচকের পতন বিনিয়োগকারীদের মনে উৎকণ্ঠার জন্ম দিয়েছিল, তার আপাতত অবসান হয়েছে।

গত ২৫, ২৬ ও ২৯ আগস্ট হারিয়ে ফেলা সূচকের বেশিরভাগ উদ্ধার হয়েছে মাসের শেষ দিন মঙ্গলবার।

এই তিন দিনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক কমেছিল মোট ৫৯ পয়েন্ট। আর সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবসে বেড়েছে ৪৫ পয়েন্ট। তবে এক পর্যায়ে সূচক বেড়েছিল ৬০ পয়েন্টে।

রোববার প্রথম কর্মদিবস শেষে সোমবার জন্মাষ্ঠমীর কারণে সাধারণ ছুটি ছিল। তাই সেদিন লেনদেন বন্ধ ছিল।

চতুর্থ দিনে পুঁজিবাজারের এই ঘুরে দাঁড়ানো ছাড়াও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে আরও একটি কারণে। শেয়ার মূল্য বাড়ার পাশাপাশি লেনদেন আবার বেড়ে দুই হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছি।

১৬ কর্মদিবস পর রোববার লেনদেন প্রথমবারের মতো দুই হাজার কোটি টাকার নিচে নেমে এসেছিল। সেটি আবার ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।

গত বছরের জুলাই থেকে পুঁজিবাজারের অভাবনীয় চাঙাভাব শুরু হয়। এই সময়ে সূচক বেড়েছে প্রায় তিন হাজার পয়েন্ট। তার পরেও আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক ও পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির মধ্যে মতভিন্নতার বিষয়টি সামনে আসায় সূচকের এই ‘সামান্য’ পতনও উদ্বেগ তৈরি করে বিনিয়োগকারীদের মনে।

পুঁজিবাজার নিজেকে ফিরে পাওয়ার দিনও ব্যাংক খাতে ভালো দিন গেছে এমন নয়। বিমা, আর্থিক, প্রকৌশল ও বস্ত্র খাত ছিল ব্যাপক চাঙা।

বিদ্যুৎ-জ্বালানি, ওষুধ ও রসায়ন খাতে দেখা গেছে মিশ্র প্রবণতা। আর এইমসের দুই ফান্ডের লভ্যাংশকে ঘোষণা করে দরপতন হয়েছে ঘুরে দাঁড়ানোর পথে থাকা মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাত।

যে উদ্বেগ কেটেছে

পুঁজিবাজারে মাঝেমঝ্যে সূচকের এমন পতন একেবারেই স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয় অন্য একটি ঘটনায়।

করোনায় আর্থিক খাতে প্রণোদনার অর্থ অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যয়সহ নানা বিষয়ে ছয়টি ব্যাংক ও তিনটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করবে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর ২৫ আগস্ট লেনদেন চলাকালে শেষ সোয়া ঘণ্টায় এই পতন শুরু হয়।

সেদিন সূচক আগের দিনের চেয়ে ৩৫ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৯১৯ পয়েন্টে উঠে ৭ হাজার পয়েন্টের মাইলফলকের দিকে ছুটছিল। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে শেষ ১ ঘণ্টা ১১ মিনিটে ৪১ পয়েন্ট কমে যায় সূচক।

আগের দিনের চেয়ে ৫ পয়েন্ট কমে লেনদেন শেষ হলেও সেদিন বিষয়টি খুব একটি গুরুত্ব পায়নি। কিন্তু পরের দিন সেখান থেকে আরও ২৭ পয়েন্ট সূচকের পতনে চিন্তার ভাঁজ তৈরি হয় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। দেখা দেয় উদ্বেগ।

রোববার সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে সূচক ধরে রাখার লড়াই চলেছে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। কিন্তু এরপর আর সেই লড়াইটা হয়নি। আগের দুই দিনের ধারাবাহিকতায় সূচকের পতন বেশি হয় বেলা দেড়টার পর। শেষ এক ঘণ্টায় সূচক পড়েছে ১৯ পয়েন্ট।

টানা তিন দিন সূচকের পতন, ৪ এপ্রিলের পর এই প্রথম ছিল। এই তিন দিনে সূচক পড়ে মোট ৫৯ পয়েন্ট।

লাদেশ ব্যাংক দেখতে চাইছে পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ তার সীমার বাইরে কি না। অথচ কেন্দ্রীয় ব্যাংকেরই তথ্য বলছে, বাজারে প্রতিটি ব্যাংককে আলাদাভাবে ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের যে সুবিধা দেয়া হয়েছে, তা কাজে লাগায়নি তারা। সব মিলিয়ে বিনিয়োগ কতে পারত ১২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। কিন্তু তহবিল গঠন হয়েছে এর এক চতুর্থাংশ। তারও অর্ধেকের কম টাকায় হয়েছে বিনিয়োগ।

এই ২০০ কোটি টাকা ব্যাংকের বিনিয়োগসীমার বাইরে। বিএসইসি চেয়ারম্যান শিবলী-রুবাইয়াত উল ইসলাম বলেছেন, ব্যাংকগুলো তার বিনিয়োগসীমার এক চতুর্থাংশ মাত্র বিনিয়োগ করেছে।

শিবলী রুবাইয়াত স্পষ্টত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আর বিএসইসি বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত নিয়ে যে নাখোশ, তা তাদের একটি পদক্ষেপেই স্পষ্ট। ২০১২ সালে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা একটি সার্কুলার তারা গণমাধ্যমকর্মীদেরকে পাঠিয়েছে, যাতে বলা হয়েছে, পুঁজিবাজারকে প্রভাবিত করে এমন কোনো সিদ্ধান্ত বা বক্তব্য কেউ এককভাবে দেবে না। নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করেই নেয়া হবে। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সেই আদেশটি এই সার্কুলার পরিপন্থি।

তবে মঙ্গলবারের লেনদেন দুই নিয়ন্ত্রক সংস্থার মধ্যে দ্বন্দ্ব নিয়ে তৈরি হওয়া উদ্বেগ কাটাতে অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সূচক ও লেনদেন

ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৪৫ দশমিক ৬৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৮৬৯ দশমিক ২৪ পয়েন্টে।

শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ৬ দশমিক ০৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৯০ পয়েন্টে।

বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ১০ দশমিক ৪৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৫৩ পয়েন্টে।

লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ২৪৯ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৮৪৬ কোটি টাকা। একদিনের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ৪০৩ কোটি টাকা।

চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১৫৩ দশমিক ১৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৯৯৭ পয়েন্টে। লেনদেন হয়েছে ৭১ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৮২ কোটি টাকা।

এ বিভাগের আরো খবর