বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সাক্ষী বানাতে সিআইডির কাণ্ড

  •    
  • ৩০ আগস্ট, ২০২১ ২২:০৭

প্রায় ছয় মাস তদন্তের পর থানা থেকে মামলাটির তদন্তভার সিআইডিকে দেয়া হয়। সিআইডি নাদিমের মেয়ে ও স্ত্রীকে ‍সিআইডি কার্যালয়ে দুই দিন আটকে রাখে। তাদের সেখানে নির্যাতন করে নাদিম ও তার পরিচিত ইয়াকুব আলী নামে এক ব্যবসায়ীকে জড়িয়ে জবানবন্দি দিতে চাপ দেয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন নাদিমের মেয়ে ও স্ত্রী।

রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় খায়রুল ইসলাম নামে এক তরুণ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় হত্যা মামলা হয়। আসামি করা হয় নাদিম আহম্মেদ নামে একজনকে। অভিযোগ করা হয়, বাসার ছাদে খায়রুলকে মারধর করে নিচে ফেলে দেন নাদিমসহ অজ্ঞাত কয়েকজন। নিচে পড়ে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান খায়রুল।

খায়রুলের বাবার করা মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে আসামি নাদিম আহম্মেদের মেয়ে এবং তার স্ত্রীকে। অভিযোগ, নাদিমের মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল খায়রুলের। ঘটনার দিন রাতে দেখা করতে নাদিমের বাসার পাশের একটি বাসার ছাদে গিয়েছিলেন খায়রুল। মেয়ের সঙ্গে খায়রুল দেখা করেছে দেখতে পেরে খায়রুলকে মারধর করে ছাদ থেকে ফেলে দেন নাদিমসহ কয়েকজন। এরপরই নিচে পড়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন খায়রুল।

মামলাটি প্রথমে তদন্ত করে বাড্ডা থানা পুলিশ। সেখানে জবানবন্দি দেন নাদিমের মেয়ে। কিন্তু এতে খায়রুলকে মারধরের বিষয়টি জবানবন্দিতে আসেনি।

প্রায় ছয় মাস তদন্তের পর থানা থেকে মামলাটির তদন্তভার সিআইডিকে দেয়া হয়। সিআইডি নাদিমের মেয়ে ও স্ত্রীকে ‍সিআইডি কার্যালয়ে দুই দিন আটকে রাখে। তাদের সেখানে নির্যাতন করে নাদিম ও তার পরিচিত ইয়াকুব আলী নামে এক ব্যবসায়ীকে জড়িয়ে জবানবন্দি দিতে চাপ দেয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন নাদিমের মেয়ে ও স্ত্রী।

এসব বিষয় উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপিসহ সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে চলতি মাসের ১০ আগস্ট একটি অভিযোগ করেছেন ইয়াকুব আলী। এই অভিযোগে সাক্ষীদের দুদিন আটকে রেখে তাদের বিরুদ্ধে জবানবন্দি দেয়ার জন্য নির্যাতনের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। ইয়াকুব আলী রিমান্ডে থাকাকালে তার পরিবারের কাছ থেকে সিআইডির তদন্তসংশ্লিষ্টরা ২ লাখ টাকা আদায় করেছেন বলেও অভিযোগ জানিয়েছেন ইয়াকুব।

সিআইডির ঢাকা মেট্রো (উত্তর বিভাগ) এই মামলাটি তদন্ত করছিল। এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই বিভাগের দায়িত্বশীলরা। তবে অভিযোগ ওঠার পর চলতি মাসেই মামলাটি ওই বিভাগ থেকে সরিয়ে সিআইডির সিরিয়াস ক্রাইম বিভাগে স্থানান্তর করা হয়েছে।

২০২০ সালের ২০ জুন বাড্ডার রসুলবাগের ৪১০ নম্বর বাড়ির চালে খায়রুল ইসলাম দগ্ধ হন। পরবর্তীতে তাকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৪ জুন মারা যান খায়রুল।

এ ঘটনায় নিহতের বাবা আব্দুল কুদ্দুস সিকদার ১ জুলাই বাড্ডা থানায় নাদিম আহম্মেদকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। নাদিম আহম্মেদ রসুলবাগের ৪১০ নম্বর তিনতলা বাড়ির মালিক। মামলার পর থেকেই তিনি পলাতক।

মামলায় যে অভিযোগ

নিহত খায়রুলের বাবা আব্দুল কুদ্দুস সিকদার মামলায় নাদিম আহম্মেদসহ চার-পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছেন। মামলার এজহারে তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘নাদিম আহম্মেদের বড় মেয়ে নাজনীন আহম্মেদ নীথির সঙ্গে আমার ছেলে খায়রুল ইসলামের প্রায় পাঁচ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক। নীথির সঙ্গে খায়রুল বিভিন্ন জায়গায় দেখাসাক্ষাৎ করত। গত বছরের ২০ জুন রাত সাড়ে ৮টার দিকে উত্তর বাড্ডায় ৪১০ নম্বর বাড়ির ছাদে নীথির সঙ্গে দেখা করতে যায়। তারা কথা বলার সময় নাদিম আহম্মেদ দেখে ফেলেন। নাদিম ও অন্য আসামিরা খায়রুল ইসলামকে মারধর করে পাশের বাড়ির টিনের চালে ফেলে দেন। ফেলার সময় বিদ্যুতের তারের সঙ্গে স্পৃষ্ট হয়ে খায়রুল গুরুতর আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৪ জুন রাত ১২টা ৫০ মিনিটে (খায়রুল) মারা যায়।’

এজাহারে বলা হয়েছে, আসামি নাদিম আহম্মেদ মারপিট করে ওই বাসার ছাদ থেকে ফেলে দেয়ার কারণেই খায়রুলের মৃত্যু হয়েছে।

জবানবন্দিতে যা বলেছেন আসামি নাদিমের মেয়ে

বাড্ডা থানা পুলিশ তদন্তকালে নাদিম আহম্মেদের মেয়ে নাজনীন আহম্মেদ নীথি সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন। গত বছরের ২৭ জুলাই এই মামলায় সাক্ষী হিসেবে আদালতে জবানবন্দি দেন নীথি। তবে এই জবানবন্দিতে খায়রুলকে মারধর করে নিচে ফেলে দেয়ার কোনো তথ্য ছিল না বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

জবানবন্দিতে নীথি বলেন, ঘটনার দিন তিনি তাদের নিজেদের ভবনের ছাদে উঠেছিলেন। খায়রুল পাশের একটি দোতলা ভবনের ছাদে উঠেছিলেন। দুজনে কথা বলছিলেন। এ সময় পাশের ছাদে কেউ ওঠার পদশব্দ পাওয়া গেলে লুকাতে গিয়ে খায়রুল ওই ছাদ থেকে পড়ে যান। বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে খায়রুল বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। নীথি নিজে চিৎকার করে এলাকার লোকজন জড়ো করেন। পরবর্তীতে খায়রুলকে অনেকেই ধরে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চার দিন পর তার মৃত্যু হয়।

পরবর্তীতে নিথী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার ধারণা, আমি যখন সিঁড়ি দিয়ে কেউ আসছে কি না তা দেখার জন্য যখন গেছি, তখন খায়রুল হয়তো দ্রুত নিচে নামতে চেয়েছিল, সে সময়ই বিদ্যুতের তারে লেগে যায়। আমি শুধু শব্দ শুনে দেখি, নিচে ও জ্বলতেছে।’

সাক্ষ্য দিতে সিআইডি কার্যালয়ে আটক

পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে বাড্ডা থানা থেকে মামলাটির তদন্ত সিআইডিতে আসে ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর। সিআইডির ঢাকা মেট্রো উত্তর বিভাগ মামলাটি তদন্তের দায়িত্বভার পায়।

মামলাটির তদারকি করেন ঢাকা মেট্রো উত্তরের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. খালিদুল হক হাওলাদার। প্রথমে মামলাটি তদন্ত করেন ইন্সপেক্টর হারুন অর রশীদ। কিছু দিন পর তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন হয়। দায়িত্ব দেয়া হয় উপপরিদর্শক (এসআই) দোলন মজুমদারকে।

মামলার নথি অনুযায়ী, তদন্তভার পেয়ে গত ৮ জুন আসামি নাদিম আহম্মেদের বাসায় যান এসআই দোলন মজুমদার ও তার টিম। তিনি নাদিম আহম্মেদ, তার স্ত্রী, মেয়ে ও শ্যালককে ৯ জুন সিআইডি কার্যালয়ে যেতে বলেন। কিন্তু পরবর্তীতে ৯ জুন তাদেরকে যেতে নিষেধ করেন দোলন। ১০ জুন যেতে বলেন।

১০ জুন সকালে নীথি, তার মা সাহিলী বানু, মামা টনিক আহম্মেদ, বিপুল ও তার বোনের স্বামী ইসমাইল সিআইডি কার্যালয়ে যান। মামলার পর থেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছেন নাদিম আহম্মেদ। ফলে তিনি যাননি। সিআইডি নীথিসহ সবার কাছ থেকে ঘটনার বিষয়ে লিখিত নেয়। এরপর তাদের নেয়া হয় ঢাকা মেট্রো উত্তরের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. খালিদুল হক হাওলাদারের কক্ষে।

নীথি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সেখানে খালিদুল আমাদেরকে হুমকি দেন। এসআই দোলনকে নির্দেশ দেন, আমাদের মারধর করার। আমাকে ও মাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়।’

নীথি বলেন, ‘তারা আমাদের কোনো কথা না শুনে শুধু তাদের শেখানো কথামতো লিখতে চাপ দিতে থাকেন। তারা লিখতে বলেন যে, “আমার আব্বু খায়রুলকে মারধর করেছেন, আমার আব্বুর বন্ধু ইয়াকুব আলীকে দিয়ে কেরোসিন আনিয়ে খায়রুলের গায়ে আগুন দিয়েছেন, এতে তার মৃত্যু হয়েছে।”

‘আমার মাকেও তা বলতে বলল সিআইডি। আমাদের দুদিন সিআইডি কার্যালয়ে আটকে রাখা হলো। নির্যাতন করা হলো। মাকে ভয় দেখানো হলো। দুদিন পর প্রথমে আমাকে আদালতে নিল। আমি আগে একবার জবানবন্দি দেয়ায় আবার জবানবন্দি নেয়নি আদালত। তবে আমার মাকে দিয়ে বাবা ও ইয়াকুব আলীর নামে জোর করে সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি নেয়াল।’

সিআইডির তদন্তসংশ্লিষ্টরা জবানবন্দি দিতে বাধ্য করেছিলেন এবং মিথ্যা জবানবন্দি দিতে দফায় দফায় নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন নাদিম আহম্মেদের স্ত্রী সাহিলী বানু।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি ও আমার স্বামী বাসায় ছিলাম। আমার মেয়ের চিৎকার শুনে আমরা ওপরে গেছি। ভেবেছি, আমার মেয়ের কিছু হয়েছে। আমার স্বামী খায়রুলকে মারছে, নিচে ফেলে দিছে– এগুলো মিথ্যা কথা। এই মিথ্যা কথাগুলো আমাকে দিয়ে জোর করে বলানো হয়েছে। আমি ভয়ে বলতে বাধ্য হয়েছি।’

নির্যাতন না করার বিনিময়ে ২ লাখ টাকা আদায়

সিআইডি মামলা তদন্ত করতে গিয়ে উত্তর বাড্ডার বেকারি ও রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী ইয়াকুব আলী নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। সিআইডি দাবি করেছে, ইয়াকুব আলী নীথির বাবা নাদিম আহম্মেদের বন্ধু। নীথির মা যে জবানবন্দি দিয়েছেন, সেখানে নাদিম আহম্মেদের যে বন্ধুর কথা বলা হয়েছে, সেই ব্যক্তি এই ইয়াকুব আলী। এরপর ইয়াকুব আলীকে তার উত্তর বাড্ডার স্বাধীনতা সরণির বেকারির দোকান থেকে গত ১০ জুন রাত ৩টার দিকে সিআইডির একটি টিম আটক করে।

ইয়াকুব নিউজবাংলাকে বলেন, সিআইডি কার্যালয়ে নিয়ে তাকে নির্যাতন করা হয়েছে। তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ১২ জুন অ্যাম্বুলেন্সে করে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাকে সিআইডি কার্যালয় দুদিন রাখা হয়। রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয় ইয়াকুব আলীকে।

দীর্ঘদিন কারাগারে থাকার পর চলতি বছরের ২৮ জুলাই জামিন পান ইয়াকুব। জামিনে বের হয়ে তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার বিবরণ ও রিমান্ডে থাকাকালে তার পরিবার থেকে ২ লাখ টাকা নেয়ার অভিযোগ করেন তিনি। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপিসহ বিভিন্ন কর্মকর্তাদের লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

ইয়াকুব আলী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সিআইডির এসআই ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দোলন মজুমদার আমার কাছে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন। তা না হলে আরও নির্যাতন করা হবে এবং মামলায় ফাঁসানো হবে বলে হুমকি দেন এসআই দোলন।’

গত বছরের ১০ জুন তাকে আটক করে আনা হলেও পরদিন আদালতে তাকে উপস্থাপন করা হয়নি। ১৩ জুন ইয়াকুব আলীকে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠায় সিআইডি। আদালত এক দিনের রিমান্ডে পাঠায়।

ইয়াকুব আলী অভিযোগে জানান, ওই দিন পুরান ঢাকার রায়সাহেব বাজার মোড়ে এসআই দোলন ইয়াকুব আলীর ছোট ভাই রাজুর সঙ্গে কথা বলেন। রাজুকে এসআই দোলন বলেন, ‘তোমার ভাইকে আমাকে ১০ লাখ টাকা দিতে বলেছিলাম, আমার কথামতো টাকা দিলে তোমার ভাইয়ের এই পরিণতি হতো না। এখনও সময় আছে, ভেবে দেখ।’

এ সময় ইয়াকুব আলীর ছোট ভাই রাজু এসআই দোলনকে অনুরোধ করেন, তার ভাইকে যেন মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো না হয়। সে জন্য তিনি পরবর্তীতে এসআই দোলনকে নগদ ২ লাখ টাকা দেন। রায়সাহেব বাজারে বসেই দোলনকে টাকা দেন রাজু।

ইয়াকুব আলী বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ, আমি নাকি নাদিমকে কেরোসিন এনে দিয়েছি, যা দিয়ে পুড়িয়ে মারা হয়েছে খায়রুল ইসলামকে। সব মিথ্যা কথা। কোনো প্রমাণ ছাড়া আমার কাছ থেকে টাকা নেয়ার জন্য এই মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। আমার সঙ্গে এই এলাকায় সবার ভালো সম্পর্ক। নাদিমকে আমি চিনতাম। কিন্তু তার সঙ্গে এ ঘটনার পর কোনো কথা হয়নি বা সে আমাকে কেরোসিন আনতেও বলেনি। এগুলো সব বানানো কথা।’

তবে টাকা নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এসআই দোলন মজুমদার। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আসামিরা অনেক কিছুই বলে। মামলার তদন্ত এখন আমার কাছে নেই। তদন্তাধীন বিষয়ে আমি কথা বলতে চাই না। সকল বিষয়ে ঊর্ধ্বতন স্যাররা জানেন।’

ঢাকা মেট্রো উত্তরের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. খালিদুল হক হাওলাদার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নাদিম শুরু থেকেই পলাতক। নাদিমের স্ত্রীর জবানবন্দিতে আরেকজনের নাম এসেছে। যাকে দিয়ে কেরোসিন কিনিয়ে এনেছিলেন নাদিম। তার নাম ইয়াকুব। তাকে আমরা গ্রেপ্তার করি। একদিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদও করেছি। জামিনে ছাড়া পেয়ে এখন তারা নানা কিছু বলছে। তদন্তাধীন বিষয়ে আমি মন্তব্য করতে চাই না। তাদের সঙ্গে অন্যায় হয়ে থাকলে তা তদন্তে বেরিয়ে আসবে।’

মামলাটি হঠাৎ ঢাকা মেট্রো উত্তর থেকে সিরিয়াস ক্রাইম বিভাগে স্থানান্তরের বিষয়ে সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, ‘মামলাটি থানা থেকে যে প্রক্রিয়ায় সিআইডিতে এসেছে, সেভাবেই আমাদের কাছ থেকে সিরিয়াস ক্রাইমে গেছে।’

খায়রুলের ময়নাতদন্ত রিপোর্টে নেই কেরোসিনের অস্তিত্ব

খায়রুলের মৃত্যুর পর ময়নাতদন্ত করেছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেয়া হয়। এতে মৃত্যুর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, ‘বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু’। মৃত্যুর আগে তাকে মারধর বা শরীরে কেরোসিনের কোনো অস্তিত্ব পায়নি ফরেনসিক বিভাগ।

এ বিভাগের আরো খবর