চট্টগ্রামের চন্দনাইশে শোক দিবসের অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত হয়েছে অন্তত চারজন।
সংঘর্ষের জেরে ছাত্রলীগের এক পক্ষ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করেছে।
চন্দনাইশ উপজেলার হাশিমপুর ইউনিয়নের বাগিচাহাট এলাকায় সোমবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
চন্দনাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মজনু মিয়া নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘বাগিচাহাটে হাসিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ব্যানারে শোক দিবসের অনুষ্ঠান চলছিল। এতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষে এক পক্ষ গুলি ছোড়ার অভিযোগ করেছে তবে আমরা এ ধরনের কোনো প্রমাণ পাইনি।
‘তা ছাড়া চারজন আহত হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। তবে কাউকে আমরা দেখিনি।’
আহত চারজন হলেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম, আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল আমিন, কাউন্সিলর লোকমান ও বিজয় বড়ুয়া। তাদের মধ্যে নুরুল আমিন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহতদের দোহাজারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ পরিদর্শক জানান, এ ঘটনায় এক পক্ষ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক আধ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে। পুলিশ তাদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু আহমেদ জুনু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সন্ধ্যা ছয়টার একটু পর আমরা প্রোগ্রাম শেষে খাবার বিতরণের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এমন সময় চন্দনাইশ পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবু তৈয়ব সঙ্গপাঙ্গ নিয়ে এসে বাহির থেকে অনবরত গুলি ও ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। এতে হাশিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিমসহ চারজন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।’ ঘটনায় ছাত্রলীগ জড়িত নেই উল্লেখ করে তিনি জানান, ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে একটি ঝামেলা ছিল কিছুদিন আগে, এটা সত্য। কিন্তু বিষয়টা কয়েকদিন আগে এমপি সাহেব সমাধান করে দিয়েছেন। ছাত্রলীগের যে দুপক্ষের আগে ঝামেলা ছিল, তাদের অনেকেও আমাদের সাথে ভেতরে ছিল। কিন্তু হামলা হয়েছে বাইরে থেকে, তাই ছাত্রলীগ জড়িত থাকার বিষয়টি সত্য নয়।’একই দাবি করেন দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বোরহান উদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘চন্দনাইশের হাশিমপুরে যে সংঘর্ষ হয়েছে তাতে ছাত্রলীগ জড়িত নয়। মূলত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের শোক দিবসের প্রোগ্রামে স্থানীয় গ্রুপিংয়ের কারণে সংঘর্ষ হয়েছে।’
দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সহসভাপতি বলেন, ‘সংঘর্ষে কেউ কেউ ছাত্রলীগের কথা বলছে তবে মূলত আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ এটি। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রোগ্রামে স্থানীয় কমিশনার আবু তৈয়ব তার বাহিনী নিয়ে এসে গুলি চালায়। এতে প্রোগ্রাম ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
‘ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু আহমেদ জুনুকে লক্ষ্য করে চালানো গুলিতে তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়। এ ছাড়াও আরও একজন আহত হয়েছে।’