জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার সময় ছাত্রনেতা হিসেবে প্রতিবাদ করতে না পারাকে নিজেদের ব্যর্থতা বলেছেন আওয়ামী লীগ নেতা ও কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক।
রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত ‘১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত সকল শহীদের স্মরণ’ শিরোনামে এক শোক সভায় সোমবার তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের অনেক ব্যর্থতা রয়েছে। একজন ছাত্রনেতা হিসেবে আমিও মনে করি, তখন কেন বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করতে পারলাম না। কেন সেদিন আমরা এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পারলাম না।
‘তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দায়িত্ব নিয়ে সেখানে কিছুটা হলেও তা উন্মোচন করতে পেরেছেন। ইনশাল্লাহ আমরা বাংলাদেশকে উন্নয়নের পথে নিয়ে যাচ্ছি। আজকের সারা পৃথিবীতে বাংলাদেশের উন্নয়ন দৃশ্যমান।’
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘যারা বঙ্গবন্ধু হত্যার কুশীলব, হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত ছিল, ষড়যন্ত্রকারী তাদের চেহারাটা উন্মোচন হওয়া দরকার।
‘কুশীলবদের ভূমিকা জাতির জানা উচিত, ইতিহাসে লিপিবদ্ধ হওয়া উচিত। জিয়াউর রহমানের ডেডবডি নিয়ে কথা বলায় প্রধানমন্ত্রী শিষ্টাচারবহির্ভূত কোনো কাজ করেন নাই।’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ করে আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘আপনারা অনেক মিথ্যাচার করেছেন। ১৯৭৫ সালের পরে আপনারা জয় বাংলা স্লোগান দিতে দেন নাই, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে হানাদার বাহিনী বলা যাবে নাসহ আরও নানাভাবে আমাদের অধিকারকে লুণ্ঠন করেছেন।
‘প্রধানমন্ত্রী সত্য কথা বলেছেন। কথা হচ্ছে, জিয়ার যে কফিন আনা হয়েছিল সেখানে কোনো ডেডবডি ছিল না। আপনারা বললেই হয়, সেখানে ডেডবডি ছিল। এটা আপনারা প্রমাণ করেন।’
তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, ‘প্রমাণ করেন সেটি কাউকে দেখানো হয়েছিল, সেনাবাহিনীকে দেখানো হয়েছিল। এটা তো শিষ্টাচারের কোনো বিষয় হলো না। আপনারা অনেক মিথ্যাচার করেছেন। এ ধরনের কথা আপনারা আরও অনেক বলেছেন।’
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ফাল্গুনী হামিদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক বাবু সুজিত রায় নন্দী, সংরক্ষিত সাংসদ সৈয়দা রুবিনা আক্তার মিরা, যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মতিউর রহমান বাদশাসহ অনেকে।