ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রলারডুবির ২২ ঘণ্টা পর উদ্ধার অভিযান সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উদ্ধারকাজ বন্ধ করা হয় বলে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রুহুল আমিন।
তিনি বলেন, ‘আজকের মতো উদ্ধার অভিযান বন্ধ করা হয়েছে। তবে রোববার থেকে আবারও শুরু করা হবে।’
প্রশাসনের এই কর্মকর্তা জানান, সদর উপজেলার চর ইসলামপুর ইউনিয়নের লইস্কা বিলে ট্রলারডুবির পরপর শুক্রবার রাত থেকে উদ্ধারকাজ শুরু করে বিআইডব্লিউটিএর ডুবুরিরা। রাতে তদন্ত কমিটি এবং বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
তিনি আরও জানান, রাতেই ডুবে যাওয়া ট্রলারটি বিলের পাড়ে নেয়া হয়।
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএর উপপরিচালক মো. শহিদুল্লাহ বলেন, ‘বিলের এই রুটে যে নৌযানগুলো চলাচল করছে একটিরও নিবন্ধন নেই। তা ছাড়া অধিকাংশ নৌযানের চালকের অভিজ্ঞতা না থাকায় এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে। এ রুটে চলাচল করা নৌকা-ট্রলার ও স্টিমার নিবন্ধনের আওতায় আনা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ডুবে যাওয়া ট্রলারটি এখনও পানি থেকে ওপরে তোলা হয়নি। এটি ওপরে তোলার সরঞ্জাম আমাদের কাছে নেই।’
লইস্কা বিলে শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে বালুবাহী ট্রলারের ধাক্কায় ডুবে যায় যাত্রীবোঝাই ট্রলারটি। প্রত্যক্ষদর্শী ও বেঁচে যাওয়া আরোহীরা জানিয়েছেন, ট্রলারে ছিল অর্ধশতাধিক যাত্রী।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির্জা মোহাম্মদ হাসান জানান, শুক্রবার রাত ২টা থেকে উদ্ধার অভিযান বন্ধ রাখা হয়। শনিবার সকাল ৮টা থেকে পুনরায় উদ্ধারকাজ শুরু করেন ডুবুরিরা।
ট্রলারডুবির ঘটনায় এ পর্যন্ত ২২ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। সবশেষ শনিবার সকালে উদ্ধার করা হয় এক শিশুর মরদেহ।
এ ঘটনায় শনিবার দুপুরে বিজয়নগর থানায় ট্রলারচালককে ১ নম্বর আসামি করে মামলা হয়েছে। আসামি করা হয় আরও ছয়জনকে। এর মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান।