বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভোক্তাদের ক্ষোভে মাগুরার হোটেলে খাবার আগের দামে

  •    
  • ২৮ আগস্ট, ২০২১ ১১:১৭

মাগুরার হোটেল সমিতির আওতাধীন হোটেলগুলোতে শনিবার সকাল থেকে আগের দামে খাবার বিক্রি করতে দেখা গেছে। তবে ভোক্তাদের অভিযোগ, দাম বাড়াতে না পারায় খাবারের মান আগের থেকে খারাপ করেছেন মালিকরা।

মাগুরা শহরের বিভিন্ন হোটেলে কিছু খাবারের দাম দ্বিগুণ বাড়ানোয় ক্ষোভের সৃষ্টি হয় ভোক্তাদের মধ্যে। এ নিয়ে হোটেলের মালিকদের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডা শুরু হয় ভোক্তাদের। এ নিয়ে তুমুল আলোচনা হয় ফেসবুকেও।

বিষয়টি নজরে আসে স্থানীয় প্রশাসনের। জেলা প্রশাসক (ডিসি) আশরাফুল আলম হোটেলের মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করে আগের দামেই খাবার বিক্রির সিদ্ধান্তের কথা জানান।

জেলার হোটেল সমিতির আওতাধীন হোটেলগুলোতে শনিবার সকাল থেকে আগের দামে খাবার বিক্রি করতে দেখা গেছে। তবে ভোক্তাদের অভিযোগ, দাম বাড়াতে না পারায় খাবারের মান আগের থেকে খারাপ করেছেন মালিকরা।

এর আগে মাগুরার হোটেল মালিক সমিতি বুধবার পরোটা, সিঙ্গারা ও সমুচাসহ কিছু খাবারের নতুন মূল্য নির্ধারণ করেন।

মাগুরা শহরে বৃহস্পতিবার সকালে চলন্তিকা হোটেলে নাশতা করতে যান এক শিক্ষার্থী। বিল দিতে গেলে হোটেল ম্যানেজারের সঙ্গে তার কথাকাটাকাটি হয়। যেখানে দুটি পরোটা ডাল-ভাজিসহ ২০ টাকায় নাশতা হয়ে যায়, সেখানে তার বিল হয় ৩০ টাকা।

ওই শিক্ষার্থী বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি আমরাও জানি। তাই বলে রাতারাতি পরোটার দাম দ্বিগুণ বাড়বে কেন?’

রাতারাতি দাম দ্বিগুণ হয়ে যাওয়াকে স্বেচ্ছাচারিতা জানিয়ে আরেক ভোক্তা কেয়া চৌধুরী বলেন, ‘সিঙ্গারা ও সমুচার দাম পাঁচ টাকা থেকে ১০ টাকা করা হয়েছে। দাম বাড়তি বলে এই দাম দিয়ে অল্প পরিমাণ কিনলাম।’

জেলা শহরের ‘চলন্তিকা’, ‘ঝন্টু’, ‘জলখাবার’সহ অন্তত ১০টি হোটেলের কর্মচারীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শুধু পরোটা, সমুচা, সিঙ্গারা নয়, ভাতের দামও বাড়ানে হয়েছিল। এক প্লেট ভাত ১০ টাকার জায়গায় ২০ টাকা করা হয়।

এ ছাড়া আলুর চপ, নিমকি, পুরি, সবজি রোল ও রুটির দাম পাঁচ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০ টাকা করেছিল হোটেল মালিক সমিতি।

সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল হক ঝন্টু নিউজবাংলাকে জানান, গত তিন মাসে খাবার তৈরির উপকরণ ময়দা, চিনি, ভোজ্যতেল, রান্নার গ্যাসের দাম কয়েক দফায় বেড়েছে। এর ফলে খাবার বানিয়ে আগের দামে বিক্রি করলে লোকসান গুনতে হচ্ছে। খাবারের আকার ও মান কমে যাচ্ছে। তাই হোটেল ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে নতুন করে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

হোটেলগুলোর মালিকপক্ষ বলছে, খাবারের দাম বাড়ানোতে ব্যবসায় ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে যাবে। তবে বাড়তি দামের কারণে ভোক্তার সংখ্যা কমে গেছে। অনেকে দাম শুনে না খেয়েই চলে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে জেলা ভোক্তা অধিকার কর্মকর্তা মো. মামুনুল হাসান জানান, বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দ্বিগুণ দাম বাড়ানো খাবারগুলো শনিবার থেকে আগের দামে বিক্রি হচ্ছে।

এ বিভাগের আরো খবর