কুমিল্লার দেবিদ্বারে প্রকাশ্যে এক নারীকে লাঠিপেটা করার ঘটনার মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সদর উপজেলায় অভিযানে শুক্রবার ভোরে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তারা হলেন কুরছাপ গ্রামের নুরুল ইসলাম ও তার পুত্রবধূ নারগিছ এবং মোস্তফা কামাল।
আরেক অভিযানে কুলসুম নামে অন্য আসামিকে গ্রেপ্তার করে দেবিদ্বার থানা পুলিশ। তিনি আসামি মোস্তফার স্ত্রী।
কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টা মামলা তুলে না নেয়ায় তার মাকে লাঠিপেটা করে নির্যাতন করার অভিযোগে থানায় ২৬ আগস্ট রাতে হত্যাচেষ্টা মামলাটি করা হয়। কিশোরীর বাবার করা মামলায় ধর্ষণচেষ্টার পাঁচ আসামিসহ আটজনকে আসামি করা হয়।
মামলার বাকি চার আসামি কাউছার আহম্মেদ, মো. হাসান ও তার স্ত্রী আনিকা এবং সফিকুর রহমান এখনও পলাতক।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ৩টায় সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-১১, সিপিসি-২ কুমিল্লা ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন।
তিনি জানান, নারীকে লাঠিপেটার ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হলে এটি তাদের নজরে আসে। তবে ঘটনার পর আসামিরা জেলার বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে যায়। শুক্রবার ভোরে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার প্রধান আসামি কাউছার আহম্মেদ বিদেশে পালিয়ে গেছেন কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে অধিনায়ক মোহাম্মদ সাকিব বলেন, ‘এ ধরনের তথ্য আমরা পেয়েছি, তবে তা নিশ্চিত নয়। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। আশা করি দ্রুত বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারব।’
২৫ মে কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে কুমিল্লার আদালতে হাসানকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন তার বাবা। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ওই মামলায় হাসানের পরিবারের আরও চার সদস্যকে আসামি করা হয়। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে চরম বিরোধ দেখা দেয়।
এর জেরে ২০ আগস্ট দুই পক্ষের মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে হাসানের বড় ভাই কাউছারসহ অন্য আসামিরা কিশোরীর মাকে রাস্তায় দিয়ে যাওয়ার সময় প্রকাশ্যে লাঠিপেটা করেন। এ ঘটনার একটি ভিডিও ২৬ আগস্ট ভাইরাল হয়।
দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান বলেন, র্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযানে হত্যাচেষ্টা মামলার চার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। আগামীকাল তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।