পাইলটের হার্ট অ্যাটাক হওয়ায় ভারতের নাগপুরে জরুরি অবতরণ করা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি রাতেই ঢাকা ফিরছে। ১২২ যাত্রীসহ বিশেষ ব্যবস্থায় রাতে সেটি দেশে ফিরিয়ে আনা হবে বলে নিশ্চিত করেছে বিমান কর্তৃপক্ষ।
বিমানের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শুক্রবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে বিমানের একটি শিডিউল ফ্লাইটের মাধ্যমে আট সদস্যের একটি উদ্ধারকারী দলকে নাগপুরে পাঠানো হচ্ছে। সেখান থেকে রাতেই যাত্রীসহ উড়োজাহাজটি দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।
ওমানের মাস্কাট থেকে ঢাকায় আসার সময় মাঝ আকাশে বিমানের একটি ফ্লাইটের পাইলটের হার্ট অ্যাটাক হয়। শুক্রবার সকালে ফ্লাইটটি নাগপুর বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করেছে।
এ ঘটনার পর গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অবতরণের পর ক্যাপ্টেন নওশাদকে হোপ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করে চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়েছে। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে।
পরিস্থিতি সামলাতে দিল্লি কার্যালয়ের কান্ট্রি ম্যানেজারকে জরুরি ভিত্তিতে যাত্রী, ক্রু ও ফ্লাইটের বিষয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিতে নাগপুর পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছে বিমান।
বিমানের ফ্লাইটটি জরুরি অবতরণের পরপর বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবু সালেহ মোস্তফা কামাল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ফ্লাইটটি ওমানের রাজধানী মাস্কাট থেকে ঢাকায় আসছিল। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বোয়িং ৭৩৭ বিমানটির হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা ছিল।
‘মাঝ আকাশে থাকার সময়ই ফ্লাইটটির ক্যাপ্টেন নওশাদ অসুস্থ হয়ে পড়লে নাগপুরে জরুরি অবতরণ করে। যতদূর জানতে পেরেছি, নওশাদের হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। তবে যাত্রীরা সবাই সুরক্ষিত আছেন। কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।’
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, এ ঘটনার সময় উড়োজাহাজটি ভারতের রায়পুরের কাছে অবস্থান করছিল। উড়োজাহাজের পাইলট নওশাদ এ সময় অসুস্থ বোধ করলে কলকাতা এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) রুমে যোগাযোগ করে জরুরি অবতরণের অনুমতি চান।
এটিসি অনুমতি দিলে নিকটবর্তী নাগপুর বিমানবন্দরে উড়োজাহাজটি অবতরণ করে।