বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আ. লীগ-ছাত্রলীগ পাল্টাপাল্টি সভা, ফটিকছড়িতে ১৪৪ ধারা

  •    
  • ২৭ আগস্ট, ২০২১ ১১:২৭

ফটিকছড়ির ইউএনও মহিনুল হাসান বলেন, ‘একই সময়ে দুটি সংগঠন ফটিকছড়ি কলেজ মাঠে সভা করার প্রস্তুতি নিয়েছে। তাই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কলেজ প্রাঙ্গণ এবং বাসস্ট্যান্ডে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাতবার্ষিকী পালনের অনুষ্ঠান আয়োজন নিয়ে চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে পাল্টাপাল্টি সভা ডেকেছে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ।

এ ঘটনায় ফটিকছড়ি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠ এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মহিনুল হাসান স্বাক্ষরিত এক আদেশে বৃহস্পতিবার রাত একটার দিকে ১৪৪ ধারা জারির কথা জানানো হয়।

আদেশে বলা হয়, কলেজ মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুর ৪৬তম শাহাদাতবার্ষিকী পালনে দুটি সংগঠন একই তারিখ ও সময়ে অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়েছে। দুই পক্ষের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং মানুষের জীবন ও সম্পদহানির আশঙ্কা রয়েছে। তাই পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে ফটিকছড়ি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ও বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

এ সময়ে ফটিকছড়ি কলেজ প্রাঙ্গণ এবং বাসস্ট্যান্ড এলাকার ২০০ গজের মধ্যে কোনো সভা, সমাবেশ, মিছিল, মিটিং এবং দুই জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না।

১৪৪ ধারার আওতায় থাকা এলাকায় লাঠিসোঁটা, আগ্নেয়াস্ত্র বা অন্য কোনো ধরনের অবৈধ সরঞ্জাম আনা, বহন ও ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষেধ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ফটিকছড়ির ইউএনও মহিনুল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘একই সময়ে দুটি সংগঠন ফটিকছড়ি কলেজ মাঠে সভা করার প্রস্তুতি নিয়েছে। তাই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কলেজ প্রাঙ্গণ এবং বাসস্ট্যান্ডে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।’

শোক দিবসের সভা আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘একটা ছাত্রলীগ, তবে আরেকটা কে জানা নেই। ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমাকে জানিয়েছেন দুটি সংগঠন এ রকম সভার আয়োজন করছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। কোন দুটি সংগঠন উনি জানবেন হয়তো।’

ফটিকছড়ি থানার ওসি রবিউল ইসলাম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকী পালনের প্রস্তুতি নিয়েছে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান হোসাইন মোহাম্মদ আবু তৈয়বের নেতৃত্বে উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশ এবং ফটিকছড়ি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগ। তাই কলেজ মাঠে ও বাসস্ট্যান্ডে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

‘ফটিকছড়ি থানাকে তা বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এখন ১৪৪ ধারা জারি করা এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।’

এ বিষয়ে ফটিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান হোসাইন মোহাম্মদ আবু তৈয়ব নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা গত রোবাবর উপজেলা আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ-সংগঠনের পক্ষ থেকে কলেজ মাঠে বঙ্গবন্ধুর শাহাদাৎবার্ষিকী পালনেরে জন্য প্রশাসনের অনুমতি নিয়েছি।

‘কিন্তু বুধবার থেকে শুনছি ফটিকছড়ি কলেজ ছাত্রলীগের ব্যানারে কলেজ মাঠে একই দিন আরেকটা প্রোগ্রাম করছে। তাই প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করছে। আমরা এখন শাহাদাৎবার্ষিকীর প্রোগ্রামটা নাজিরহাটের চৌধুরী ছকিনা কমিউনিটি সেন্টারে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে ফটিকছড়ি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

তবে কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এবং ফটিকছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি জামাল উদ্দিন বলেন, ‘পুরো আগস্ট মাসব্যাপী কলেজ মাঠে কলেজ ছাত্রলীগ প্রোগ্রাম করেছে। তারা সাধারণত কলেজ প্রিন্সিপালের অনুমতি নিয়ে প্রোগ্রাম করে। কিন্তু কয়েকদিন আগে জানতে পারি এখানে আওয়ামী লীগের ব্যানারে শুক্রবার একই সময়ে আরেকটি প্রোগ্রাম হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যারা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আছে আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পেরেছি এটা উপজেলা আওয়ামী লীগের অনুমোদিত কমিটির প্রোগ্রাম না। মূলত ঝামেলা সৃষ্টির জন্যই তারা এই প্রোগ্রামটার আয়োজন করেছিল।’

ফটিকছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন মুহুরী বলেন, ‘আজ আমদের কোনো প্রোগ্রাম ছিল না। আওয়ামী লীগের নাম দিয়ে যারা প্রোগ্রাম করতে চেয়েছিল, তারা আওয়ামী লীগের কেউ না।

‘কলেজ মাঠে মূলত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশনায় কলেজ ছাত্রলীগের তিনদিনের প্রোগ্রাম ছিল। ওই প্রোগ্রামে উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের যাওয়ার কথা ছিল।

‘তবে ১৪৪ ধারা জারি হওয়ায় প্রোগ্রামটা আর হচ্ছে না। আর আমাদের উপজেলা এবং জেলা আওয়ামী লীগ থেকে তাদেরকে আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়েছে, কিন্ত তারা শোনছে না।

‘যার নেতৃত্বে প্রোগ্রাম হওয়ার কথা ছিল, তাকে অনেক আগে আওয়ামী লীগ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। আর আওয়ামী লীগের প্রোগ্রাম যদি হতো, তাহলে সভাপতি-সেক্রাটারীকে বাদ দিয়ে কীভাবে প্রোগ্রাম হয়?’

এ বিভাগের আরো খবর