চাঁদপুরে নূর মোহাম্মদ নামের এক ব্যক্তির করা যৌতুক মামলায় তার স্ত্রী মনি আক্তার মিতুকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মিতু চাঁদপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির হলে বিচারক মো. কফিল উদ্দিন এ আদেশ দেন।
১৫ জুলাই চাঁদপুর আদালতে নূর মোহাম্মদ স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।
মামলার বিবরণে বলা হয়, ২০১৯ সালের ৩১ জুন মতলব উত্তর উপজেলার বাসিন্দা নুর মোহাম্মদের সঙ্গে একই উপজেলার সুজাতপুর এলাকার দুলাল মিজির মেয়ে মনি আক্তার মিতুর ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা মোহরানায় বিয়ে হয়। ওই সময় ৫০ হাজার টাকা নগদ ওয়াশিয়াস্তে কাবিন নিবন্ধন হয়। পরে নুর মোহাম্মদ বাকী ২ লাখ টাকা পরিশোধ করেন।
বিয়ের পর থেকে মিতু তার স্বামীর কাছে বিভিন্ন অজুহাতে নগদ অর্থ যৌতুক দাবি করেন। এক পর্যায়ে তার বাবার ঘর নির্মাণের কথা বলে স্বামীর কাছ থেকে দুই লাখ টাকা আদায় করেন। এরপরও যৌতুকের দাবিতে নূর মোহাম্মদকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন অব্যাহত রাখেন মিতু ও তার পরিবারের লোকজন। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন নিয়ে কয়েক দফা সালিশ হয়। তারপরও সমাধান হয়নি।
মামলায় আরও বলা হয়, মিতু ও তার পরিবারের লোকজন তিন লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। টাকা না দিলে মিতু সংসার করবেন না বলে তালাক চান। অবশেষে ১৫ জুলাই নূর মোহাম্মদ চাঁদপুর আদালতে মামলাটি করেন।
বাদীর আইনজীবী বিশ্বজিৎ রানা বলেন, নূর মোহাম্মদ দীর্ঘদিন ধরে যৌতুকের কারণে তার স্ত্রী ও শ্বশুড় পক্ষের লোকজন দ্বারা নির্যাতিত হয়ে আসছিলেন। এ ঘটনায় গত ১৫ জুলাই আদালতে যৌতুক মামলা করা হয়। ওই দিনই আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আসামি মনি আক্তার মিতু ও তার ভাই মেহেদী হাছানের বিরুদ্ধে সমন জারি করে।
দুপুরে ওই মামলায় মিতু ও তার ভাই মেহেদী স্বেচ্ছায় আদালতে উপস্থিত হলে আদালত মিতুর জামিন আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তার ভাই মেহেদীকে জামিন দেয়া হয়েছে।
আসামি পক্ষে আইনজীবী ছিলেন আবদুল আজিজ।