ফরিদপুর সদরে পদ্মা নদীতে শিক্ষকদের পিকনিকের ট্রলার ডুবে দুইজন নিখোঁজ।
উপজেলার সিঅ্যান্ডবি নৌঘাটের পাশে ডিক্রির চর ইউনিয়নের মদনখালী এলাকায় বুধবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ দুজন হলেন ফরিদপুর সারদা সুন্দরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আজমল হোসেন ও ফরিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আলমগীর হোসেন।
ফরিদপুর ২ নম্বর ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রাকিব হোসেন নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ট্রলার ডুবি থেকে বেঁচে ফেরা সারদা সুন্দরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজির শিক্ষক রেজাউল করিম জানান, কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১৪ জন শিক্ষক মিলে তারা বিকেলে পদ্মা নদীতে নৌকা ভ্রমণে যান। ফরিদপুর সদরের চর মাধবদিয়া ইউনিয়নের খলিল মণ্ডলের হাট থেকে তাদের যাত্রা শুরু হয়।
বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ডিক্রির চর ইউনিয়নের নাজির বিশ্বাসের ডাঙ্গী মদনখালীর মাথায় একটি পল্টনে গিয়ে ট্রলারটি থামানো হয়। ওই পল্টনে তারা আসরের নামাজ পড়েন।
নামাজ শেষে তারা আবার যাওয়া শুরু করলে হঠাৎ ট্রলারের ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। সে সময় প্রচণ্ড স্রোতে ট্রলার উল্টে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী আসলাম শেখ বলেন, ‘আমরা সিঅ্যান্ডবি ঘাটে জাহাজে রং করছিলাম। হঠাৎ চেঁচামেচি শুনে এগিয়ে গিয়ে দেখি ট্রলার ডুবে গেছে। তখন সবাই মিলে কয়েকজনকে উদ্ধার করি।’
আরেক প্রত্যক্ষদর্শী নাজমুল হোসেন বলেন, ‘আমি নদীতে নৌকা চালাচ্ছিলাম। খবর পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করি। যেখানে ট্রলার ডুবেছে সেখান থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূর থেকে দুজনকে উদ্ধার করি।’
এএসআই রাকিব জানান, চালকসহ ট্রলারটিতে ১৫ জন ছিলেন। স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের মধ্যে ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিস, থানা পুলিশ ও নৌ পুলিশ কাজ করছে।
আহতদের ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা সুভাষ বাড়ৈ জানান, ফায়ার সার্ভিস, থানা পুলিশ ও নৌ পুলিশ তিনটি ট্রলার নিয়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে।