চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার কাউন্সিলরের নামে এবার স্ত্রীকে হত্যার মামলা হয়েছে।
জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে পৌর কাউন্সিলর ও জেলা যুবলীগের সাবেক সহসভাপতি আতিকুর রহমান মোর্শেদের দ্বিতীয় স্ত্রী সৈয়দ আমেনা পিংকির বাবা সৈয়দ শরিফ উদ্দিন মামলা করেন।
মামলায় মোর্শেদসহ নয়জনের নামে ও তিন থেকে চারজনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে।
আদালত পরিদর্শক তানভীর আহমেদ নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, আদালতের বিচারক শামসুল আলম টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তদন্ত শেষে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন। এর আগে সোমবার বিকেলে চাঁদাবাজি মামলায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে মোর্শেদকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মোর্শেদের বাড়ির সামনে শরিফ ভাড়া বাসায় থাকতেন। ২০১২ সালের জুনে মোর্শেদের লোকজন পিংকিকে অপহরণ করে। এরপর তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিনের মধ্যেই মোর্শেদ তাদের বিয়ের কাবিননামা ছিঁড়ে ফেলেন।
পিংকি ও মোর্শেদের একটি মেয়ে আছে। প্রথম স্ত্রী নিয়ে প্রায়ই তাদের দুজনের কলহ হতো। ২০১৭ সালের ২৬ জানুয়ারি রাতে দাওয়াতের কথা বলে মোর্শেদ পিংকিকে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলেন।
পৌরসভার সামনে থেকে ১৯ আগস্ট বেলা পৌনে দুইটার দিকে গোয়েন্দা পুলিশ ও থানা-পুলিশের যৌথ অভিযানে মোর্শেদকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পরপর তার বাসায় অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল, ছয়টি গুলি ও দুটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়। এরপর ২০ আগস্ট পুলিশ তাকে তিন দিনের রিমান্ডে নেয়।
টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোশাররফ হোসেন জানান, রিমান্ডে মোর্শেদ তার অস্ত্র ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য দিয়েছেন। তার দেয়া তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। তার নামে দুই যুবলীগ নেতা, ছাত্রদল নেতা, ব্যবসায়ী হত্যাসহ চাঁদাবাজির মামলা আছে।