বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে কলকাতায় বাংলাদেশের উপহাইকমিশনে।
রোববার উপহাইকমিশনের গ্যালারিতে অত্যন্ত ভাবগম্ভীর পরিবেশে বঙ্গমাতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক নিবেদন করে শ্রদ্ধা জানান অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিশিষ্টজনেরা।
সভাপতির বক্তব্যে উপহাইকমিশনার তৌফিক হাসান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনে বাবা-মায়ের পাশাপাশি যার অবদান সবচেয়ে বেশি ছিল, তিনি বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব। তার অসামান্য অবদানের জন্য বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের বন্ধু হয়ে উঠেছিলেন বঙ্গবন্ধু।’
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি সাংবাদিক অমল সরকার আলোচনায় অংশ নিয়ে বলেন, ‘দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে পাকিস্তান রাষ্ট্র হিসেবে উদ্ভবের পর, পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) ওপর যে বৈষম্যমূলক আচরণ করেছিল পাকিস্তান সরকার তা মানতে পারেননি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মরণপণ লড়াই করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। তার প্রতিটি ধাপেই ছিল বঙ্গমাতার উজ্জ্বল উপস্থিতি।’
সাংবাদিক অমল সরকার আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব পরস্পর পরস্পরের পরিপূরক ও অবিচ্ছেদ্য ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর বাঙালি জাতির জনক হয়ে ওঠার নেপথ্যে ছিলেন, তার চির জীবনের সুখ-দুঃখের সঙ্গী শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব।’
বঙ্গমাতার ৯১ তম জন্মদিন উপলক্ষে পাঠানো রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন উপহাইকমিশনের কাউন্সিলর (শিক্ষা ও ক্রীড়া) রিয়াজুল ইসলাম ও কাউন্সিলর (কনস্যুলার) মো. বশির উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্য অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপহাইকমিশনের প্রথম সচিব (প্রেস) ড. মো. মোফাকখারুল ইকবাল, প্রথম সচিব (রাজনৈতিক-১) শামীমা ইয়াসমিন স্মৃতি, প্রথম সচিব (রাজনৈতিক-২) সানজিদা জেসমিন।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভার পাশাপাশি তথ্যচিত্র প্রদর্শন, বাণী পাঠ, দোয়া ও মাহফিলের আয়োজন করা হয়।