আফগানিস্তানের কান্দাহার প্রদেশে পুলিৎজারজয়ী ভারতীয় ফটোসাংবাদিক দানিশ সিদ্দিকীর লড়াইয়ের মধ্যে পড়ে নিহত হননি। তালেবান যোদ্ধারা দানিশকে ধরে নিয়ে গিয়ে বর্বরভাবে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে বলে দাবি করেছে আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর মুখপাত্র।
প্রথমে দাবি করা হয়েছিল, আফগান সেনা ও তালেবানের লড়াইয়ের মধ্যে পড়ে দানিশ সিদ্দিকী নিহত হন।
আফগান জাতীয় প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বাহিনীর মুখপাত্র আজমল ওমর সিনওয়ারি নিশ্চিত করে বলেছেন, দানিশ সিদ্দিকীকে তালেবান ধরে নিয়ে যায় এবং পরে তাকে হত্যা করে।
ইন্ডিয়া টুডে টিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আফগান ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘বিচ্ছিন্নতার কোনো নিশ্চয়তা নেই। যে এলাকায় দানিশ হত্যার শিকার হয়েছেন সেটি তালেবানের নিয়ন্ত্রণাধীন। বিষয়টি এখনও তদন্ত হচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শী খুঁজে পেতে সময় লাগছে।’
গত সপ্তাহে আমেরিকাভিত্তিক ওয়াশিংটন এক্সামিনার ম্যাগাজিন প্রথমবারের মতো দাবি করে, দানিশ সিদ্দিকী কোনো ক্রসফায়ারে নিহত হননি, তাকে তালেবান যোদ্ধারা ধরে নিয়ে গিয়ে বর্বরোচিতভাবে হত্যা করে। দানিশের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পরই তাকে এভাবে হত্যা করা হয়।
৩৮ বছর বয়সী দানিশ সিদ্দিকী রয়টার্সের হয়ে আফগানিস্তানে একটি অ্যাসাইনমেন্টে ছিলেন। ১৭ জুলাই কান্দাহার শহরের স্পিন বলদাখ জেলায় আফগান ও তালেবান সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষের পর দানিশের মরদেহ পায় আফগান পুলিশ।
ওই পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘তালেবান যখন সিদ্দিকীকে ধরে তখন তিনি জীবিত ছিলেন। তালেবান সিদ্দিকীর পরিচয় যাচাই করে এবং তারপর তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে। কমান্ডার এবং তার দলের অন ্রসদস্যরা তাকে উদ্ধারে গিয়ে নিহত হন।’
আজমল ওমর সিনওয়ারি বলেন, ‘তালেবান ওই এলাকা নিয়ন্ত্রণের দাবি করছে যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তালেবান পাকিস্তানের আর্থিক সহায়তা ও সমর্থনে আফগানিস্তানের সরকারের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে।’
আফগান বাহিনীর গাড়িবহরে রকেট হামলার ছবিসহ বেশ কিছু ছবি তুলেছিলেন দানিশ সিদ্দিকী।
কান্দাহার প্রদেশের কান্দাহার শহরের ভেতর ও আশপাশে তালেবানের সঙ্গে আফগান সেনাবাহিনীর লড়াই তীব্র রূপ নিলে গত ১০ জুলাই ভারতের কনস্যুলেট থেকে দেশটির বিমানবাহিনীর একটি ফ্লাইটে কূটনীতিক, কর্মচারী ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাসহ প্রায় ৫০ জনকে দেশে ফিরিয়ে নিয়েছে নয়াদিল্লি।