আফগানিস্তানে একের পর এক শহর দখলে নিচ্ছে তালেবান যোদ্ধারা। সবশেষ বড় তিনটি শহরে কঠিন লড়াইয়ের পর তা দখলে নেয় তালেবান।
এমন শহর দখল ঠেকাতে আফগান সেনারা বোমা হামলা শুরু করেছে তালেবানদের ওপর।
স্থানীয় লোকজনের বরাতে আলজাজিরা জানায়, পূর্বাঞ্চলীয় শহর হেরাতে শত শত কমান্ডো মোতায়েন করা হয়। এ ছাড়া দক্ষিণাঞ্চলের শহর লস্করগাহে রোববার আরও বেশি সেনা পাঠানোর অনুরোধ করে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। এ সময় আফগান বিমান হামলায় অনেক মানুষ মরে রাস্তায় পড়ে ছিল।
পুলিশ বলছে, রোববার আফগানিস্তানের দক্ষিাঞ্চলীয় প্রদেশ কান্দাহারে একটি মর্টার শেল এক গাড়িতে আঘাত করে। এতে কমপক্ষে পাঁচ বেসামরিক নাগরিক নিহত হন।
ঘটনাটি ঘটেছে কান্দাহার শহরের উপকণ্ঠে দুপুরের দিকে। সেখানে শহর দখলে এগিয়ে আসা তালেবান ও আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের সময়।
পুলিশের মুখপাত্র জামাল নাসের এই হামলার জন্য তালেবানকে দায়ী করেছে।
আফগানিস্তানে মে মাসের শুরুতে যখন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বিদেশি সেনা প্রত্যাহার করার ঘোষণা আসে তখন থেকে তালেবানদের সঙ্গে লড়াই শুরু হয় আফগান বাহিনীর।
এখন দেশটি থেকে প্রায় সব বিদেশি সেনা সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের পর থেকেই একের পর এক শহর দখলে লড়াই করছে তালেবান যোদ্ধারা।
এরই মধ্যে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ শহর ও গ্রামীণ অনেক অঞ্চল দখল করেছে। এমনকি তালেবানরা প্রাদেশিক রাজধানীগুলোতে দখলে লড়াই করছে।
আফগানিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর ও তালেবানের আগের শক্ত ঘাঁটি কান্দাহারের বিমানবন্দরে রোববার ভোরে তালেবান যোদ্ধারা তিনটি রকেট হামলা চালায়। এরপর সেখানে বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
বিমানবন্দরের প্রধান মাসুদ পাসতুন বলেন, তালেবানের ছোড়া দুটি রকেট রানওয়েতে আঘাত করেছে। এতে রানওয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেটি মেরামতে কাজ করা হচ্ছে।
রাজধনী কাবুলের সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে হামলার বিষয়টি স্বীকার করেছে।
কর্মকর্তারা বলছেন, এই ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের তথ্য তারা পাননি।
তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ রয়টার্সকে বলেন, ‘কান্দাহার বিমানবন্দরকে লক্ষ্য করার কারণ হচ্ছে শক্ররা ওই বিমানবন্দর ব্যবহার করে আমাদের ওপর হামলা চালাচ্ছে।’
তালেবান যোদ্ধাদের থেকে শহর দখল রক্ষা করতে বিমানবন্দরটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেই সঙ্গে আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলের সব যোগাযোগের অন্যতম একটি হিসেবে বিমানবন্দরটি ব্যবহার হয়।