বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিজেপিকে হারাতে এক হওয়া জরুরি, সোনিয়ার সঙ্গে বৈঠকে মমতা

  •    
  • ২৮ জুলাই, ২০২১ ২০:১৯

মমতার কথায়, ‘সোনিয়াজি আমায় চা খেতে ডেকেছিলেন। রাহুলজিও সেখানে ছিলেন। আমরা দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে আলোচনা করেছি। কোভিডসহ বিরোধী জোট নিয়েই আলোচনা করেছি। খুব ভালো বৈঠক হয়েছে।’

কংগ্রেসের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে ছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও।

দিল্লিতে জনপথ রোডে সোনিয়া গান্ধীর সরকারি বাসভবনে প্রায় দু’বছর পর কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের পর তৃণমূল নেত্রীকে ভবিষ্যতের জোট নিয়ে আশার কথা বলতে শোনা যায়।

বৈঠকের পর বুধবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘খুব ইতিবাচক বৈঠক হয়েছে। আশা করছি ভবিষ্যতে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।’

মমতার কথায়, ‘সোনিয়াজি আমায় চা খেতে ডেকেছিলেন। রাহুলজিও সেখানে ছিলেন। আমরা দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে আলোচনা করেছি। কোভিডসহ বিরোধী জোট নিয়েই আলোচনা করেছি। খুব ভালো বৈঠক হয়েছে।’

যদিও বিরোধী জোটকে নেতৃত্ব দেয়ার বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন সবাই। এ প্রসঙ্গ উঠলে তা এড়িয়ে গিয়ে মমতা বলেন, ‘আমি জ্যোতিষী নই। এটা পরিস্থিতির উপর নির্ভর করছে। বিজেপিকে হারাতে হলে সবার এক হওয়া জরুরি। আমি একা কিছু করতে পারব না। সবাই মিলে একসঙ্গে যা করার করতে হবে।’

জোটকে তিনিই নেতৃত্ব দেবেন কি না এই প্রশ্নের উত্তরে তৃণমূল নেত্রী জানান, ‘আমি থোরাই লিডার, আমি তো ক্যাডার।’

সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকের আগেই বিরোধী জোট নিয়ে আরও জোরাল বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷

জনপথে যাবার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন বিরোধী জোটের মুখ কে হবেন তা নিয়ে সবাই মিলে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে৷

ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিরোধী জোট গঠনকেই এখন অগ্রাধিকার দেয়া উচিত বলে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ মমতা বলেন, ‘আগামী দিনে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে গোটা দেশের লড়াই হবে৷’

বৃহত্তর জোট গঠনের ক্ষেত্রে তিনি যে কংগ্রেসকেও যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন, সেটাও এ দিন ফের একবার সাফ জানিয়ে দেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘সোনিয়াজি চান বিরোধীদের ঐক্য হোক। ২০২৪ সালে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে গোটা দেশের লড়াই হবে। দরকার হলে বারাণসীতেও যাব।’

ওড়িশা ও অন্ধ্র প্রদেশের মতো রাজ্য এখনও বিরোধী শিবিরে যোগ না দিলেও পরে সময় সেটা হতেও পারে, এমনটাও বলতে শোনা যায় তৃণমূল সুপ্রিমোকে।

তার কথায়, ‘জগনমোহন, নবীন পট্টনায়েকসহ সবার সঙ্গেই আমার ভালো সম্পর্ক রয়েছে। আজ তারা সঙ্গে নেই, কাল থাকতেও পারেন।’

মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বুঝিয়ে দিয়েছেন, ২০২৪ পর্যন্ত অপেক্ষা করা নয়৷ উত্তর প্রদেশে বিজেপির বিজয়রথ থামিয়ে দেয়াই তাদের প্রধান লক্ষ্য৷ আর উত্তর প্রদেশে বিজেপিকে হারাতে গেলেও যে বিরোধী দলগুলোর একজোট হওয়া প্রয়োজন।

তিনি আরও বুঝিয়ে দিয়েছেন, যে রাজ্যে যে বিরোধী দল শক্তিশালী, বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তাদেরকেই সাহায্য করতে হবে অন্যদের৷

মমতা জানান, বাংলার নির্বাচনি সাফল্যকে সামনে রেখে বিজেপি বিরোধী ভোটকে একত্রিত করাই তাদের লক্ষ্য৷ লোকসভা নির্বাচনের আগে যে তিনি বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনগুলোকেও পাখির চোখ করেছেন, তা মঙ্গলবারই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিক বৈঠকে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷

এ দিনও সেই কথারই পুনরাবৃত্তি করেছেন তিনি৷

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন দলের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। কোভিড সংকট মিটে গেলে আমরা বৈঠক করতে পারি।’

কংগ্রেস সভানেত্রীর সঙ্গে বৈঠকের আগে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সোনিয়া গান্ধীও বিরোধী ঐক্য চাইছেন। এখন অন্য দলগুলোকেও এগিয়ে আসতে হবে।’

তবে বিরোধী জোট গঠনের কাজে তাড়াহুড়ো চান না তৃণমূলনেত্রী৷ বরং সবার মতামত নিয়েই এগনোর পক্ষে তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘জাতীয় রাজনীতিতে বামেদের অবস্থান ঠিক কী, এ বার সেটা সাফ করতে।’

কেরালার প্রসঙ্গ টেনে পশ্চিমবঙ্গের বামেদের নিয়ে তার প্রশ্ন, ‘ওরা পারবে না কেন?’

এ বিভাগের আরো খবর