পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে অতিবর্ষণের ফলে সৃষ্ট বন্যায় বুধবার কমপক্ষে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
জিও নিউজের খবরে বলা হয়, চলতি বর্ষা মৌসুমের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ডের দিনে ইসলামাবাদ ছাড়াও রাওয়ালপিন্ডি শহরে বন্যা দেখা দিয়েছে। জরুরি উদ্ধারকাজের জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
নিজের অফিশিয়াল টুইটারে দেয়া আবহাওয়ার খবর শেয়ার করে ইসলামাবাদের ডেপুটি কমিশনার মুহাম্মদ হামজা শাফকাত বলেন, ‘অতিবর্ষণে ইসলামাবাদের বেশ কিছু এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে। আমাদের কর্মীরা বিভিন্ন রাস্তা ও নালা পরিষ্কার করছেন। আশা করছি, কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এসব পরিষ্কার করতে পারব।’
এরপর ডিসি ঘোষণা করেন, ইসলামাবাদের রাস্তাগুলো ট্রাফিকের জন্য পরিষ্কার করা হচ্ছে।
একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ইসলামাবাদের ই-১১ এবং ডি-১২ সেক্টর এলাকার রাস্তাগুলোতে অনেক গাড়ি পানির স্রোতে ভেসে যাচ্ছে। একই অবস্থা রাওয়ালপিন্ডিতে।
এই দুই শহরে চলতি বর্ষা মৌসুমে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বুধবার।
পাকিস্তানের আবহাওয়া বিভাগ জানায়, গত কয়েক ঘণ্টায় ইসলামাবাদ ও এর আশপাশের এলাকায় ৩৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
রাওয়ালপিন্ডিতে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি, সেনাবাহিনী মোতায়েন
রাওয়ালপিন্ডির স্থানীয় সরকার শহরটিতে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা ও মানুষকে জরুরি উদ্ধারের জন্য সেনাবাহিনীর সাহায্য চায়। এরপর সেখানে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়।
অভ্যন্তরীণ সেবা বিভাগের জনসংযোগ কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, শহরের নুল্লা লাইতে পানির উচ্চতা সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে। সেখানে পানিবন্দি হাজার হাজার মানুষকে উদ্ধারে কাজ করছেন সেনাসদস্যরা।
সেনারা বেসামরিক নাগরিকদের উদ্ধারের পাশাপাশি ত্রাণ বিতরণ করছেন।
নুল্লা লাইতে যেকোনো ধরনের জরুরি অবস্থা মোকাবিলার জন্য জাতীয় দুর্যোগ ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ সতর্ক আছে বলে জানানো হয়।
ইসলামাবাদে মা-ছেলের মৃত্যু
অতিবর্ষণে হঠাৎ সৃষ্ট বন্যার পানিতে ডুবে ইসলামাবাদের সেক্টর ই-১১ এলাকায় মা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে।
তাদের পরিবার বলছে, পাশের একটি নালা পানিতে ডুবে তাদের বাড়িতে পানি ঢুকে পড়লে চার সন্তান ও তাদের মা ডুবে যান। প্রশাসনের লোকজন তিন সন্তানকে জীবিত উদ্ধার করতে পারলেও মা ও আরেক শিশুর মৃত্যু হয়।
মৃত শিশুর চাচা জানান, সকাল ৬টায় তাদের বাড়ির পেছনের অংশ ধসে পড়ে। একই সঙ্গে পাশের নালা ডুবে বাড়িতে পানি প্রবেশ করলে চার শিশুসহ তাদের মা ডুবে যান। প্রশাসনের লোকজন সাড়ে ৮টার দিকে এসে তিনজনকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হন।’