ভারতে প্রায় সাড়ে চার মাস পর করোনাভাইরাস সংক্রমণ ৩০ হাজারের নিচে নেমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে সংক্রমণ ধরা পড়েছে ২৯ হাজার ৬৮৯ জনের শরীরে। চলতি বছরের ১৭ মার্চের পর এটাই সর্বনিম্ন শনাক্ত। সেদিন দেশটিতে করোনা শনাক্ত হয়েছিল ২৮ হাজার ৯০৩ জনের।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, এরপর থেকে দেশটিতে টানা বাড়তে থাকে শনাক্তের সংখ্যা। বাড়তে বাড়তে এপ্রিলে সেটি গণ্ডি পেরোয় দৈনিক চার লাখ। এমনকি মৃত্যুও সে সময় দৈনিক পাঁচ হাজারের কাছাকাছি চলে যায়।
অবশ্য গত ২৪ ঘণ্টায় শুধু শনাক্তই কমেনি। সেই সঙ্গে কমেছে মৃত্যুও। এ সময় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪১৫ জনের।
এ নিয়ে দেশটিতে সরকারি হিসাবে মৃত্যুর সংখ্যা পৌঁছেছে ৪ লাখ ২১ হাজার ৩৮২ জনের।
ভারতে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩ কোটি ১৪ লাখ ৪০ হাজার ৯৫১ জনের।
শেষ এক দিনে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৭ লাখ ২০ হাজার ১১০ জনের। এতে সংক্রমণের হার ছিল ১ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
দেশটিতে সংক্রমণের মোট হার দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৮৫ শতাংশে।
ভারতে সংক্রমণ কমে আসার অন্যতম কারণ বলা হচ্ছে টিকাকরণ। দেশটিতে জোরেশোরে টিকাকরণ করা হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে টিকা দেয়া হয়েছে ৬৬ লাখ ৩ হাজার ১১২ জনকে। আর মোট টিকা দেয়া হয়েছে ৪৪ কোটি ১৯ লাখ ১২ হাজার ৩৯৫ জনকে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমেছে ১৩ হাজারেরও বেশি। এর জেরে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা নেমেছে চার লাখের নীচে।
চলতি বছর ২৫ মার্চ শেষবার দেশের সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ছিল ৪ লাখের কম। দৈনিক সংক্রমণ বৃদ্ধির জেরে ধারাবাহিকভাবে বেড়েছিল সক্রিয় রোগী। এক সময় তা ৩৭ লাখ পেরিয়েছিল।
এখন ভারতে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ৩ লাখ ৯৮ হাজার ১০০ জন।
ভারতে সরকার যে মৃত্যুর হিসাব দিয়েছে তার থেকে কয়েকগুণ বেশি মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের দুটি প্রতিষ্ঠান দাবি করেছে ভারতে করোনায় অন্তত ৩৫ লাখ লোকের মৃত্যু হয়েছে।
গত তিন বছরে দেশটিতে স্বাভাবিক মৃত্যুর হিসাব ধরে একটি জরিপ চালিয়ে এই মৃত্যুর হিসাব পাওয়ার দাবি করেছে দেশ দুটি।