ফের রাতের আকাশে জন্মুতে ড্রোনের দেখা। তবে এবার চোখে ধুলো দিয়ে পালাতে পারল না ড্রোন।
বৃহস্পতিবার রাতে জম্মুর কানাচকে একটি ড্রোনকে উড়তে দেখে সঙ্গে সঙ্গে গুলি চালায় জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। কয়েকবারের চেষ্টায় গুলি করে নামানো হয় ড্রোনটিকে। সেই ড্রোন থেকে উদ্ধার হয় ৫ কেজি আইইডি বিস্ফোরক।ভারত-পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ৮ কিলোমিটার ভিতরে আখনুরের কানাচকে ওই ড্রোনের দেখা মেলে। সঙ্গে সঙ্গে গুলি চালায় জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ।
জানা গেছে, সেটি একটি হেক্সাকপ্টার ড্রোন ছিল। তার সঙ্গে পাঁচ কেজি আইইডি বিস্ফোরকও উদ্ধার করা হয়েছে।
মনে করা হচ্ছে, জম্মুর বিমানঘাঁটির আদলেই ফের একবার বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা ছিল। ড্রোনটি পাকিস্তান থেকে এসেছে বলেই মনে করা হয়েছে। এই ঘটনার নেপথ্যে জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়্যেবা জড়িত থাকতে বলে মনে করা হচ্ছে।দুদিন পরেই রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ সফরে যাবেন। তার আগে এই ড্রোন হামলার পরিকল্পনা নিরাপত্তা বাহিনীর চিন্তা বাড়িয়েছে।
জম্মুর সেনা বিমান ঘাঁটিতে ড্রোন হামলার পর শ্রীনগর প্রশাসন ড্রোন ও একই ধরণের গ্যাজেট ওড়ানোর অনুমতি বাতিল করে দেয়। আইন লংঘন করলে কড়া শাস্তি হবে বলে সতর্ক করা হয়েছে।এই বিষয়ে প্রাক্তন উইং কম্যান্ডার আরকে দাস বলেন, ‘বিষয়টি খুবই বড় ও গুরুতর। এতদিন ড্রোনের দেখা মিললেও তা গুলি করে নামানো সম্ভব হচ্ছিল না। গতকাল রাতে ড্রোনটি নামানো সম্ভব হওয়ায় এ বার এই ড্রোনের উপর গবেষণা করে অনেক তথ্য জানা যাবে।
‘ড্রোনগুলো কোন দেশ তৈরি করেছে, তার গতিবেগ কত, কত কেজি বিস্ফোরক বহন করতে পারে, এর বিশেষত্ব কী, এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানা যাবে।’
কাশ্মীরের জম্মু বিমানবাহিনীর বিমানবন্দরে সম্প্রতি পরপর দুটি ড্রোন হামলার পর থেকে সতর্ক হয় পুলিশ-বিএসএফ। সীমান্তে ড্রোন শনাক্ত করতে প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করে। বসানো হয় ড্রোন প্রতিরোধ ব্যবস্থা।
জন্মু বিমানবন্দরে হামলার পর থেকে বেশ কয়েকবার সীমান্তে ড্রোন দেখতে পেয়েছে বিএসএফ। সেগুলো গুলি করে নামিয়েছেও। তবে বেশ কিছু ড্রোন গুলি করার আগেই পাকিস্তান সীমান্তের দিকে চলে যায় বলে দাবি জওয়ানদের।