বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভয়েস অফ আমেরিকার বাংলা রেডিও বন্ধ ঘোষণা

  •    
  • ১৪ জুলাই, ২০২১ ১৬:০২

ভয়েস অফ আমেরিকার ভারপ্রাপ্ত প্রোগ্রাম পরিচালক জন লিপম্যান বলেন, ‘‘যখন ১৯৫৮ সালে বাংলাদেশে ভিওএ যাত্রা করে তখন বাংলাদেশ পরিচিত ছিল ‘পূর্ব পাকিস্তান’ নামে। সে সময় সেখানে সামরিক আইন চলছিল এবং কোনো টেলিভিশন কিংবা বেসরকারি রেডিও ছিল না।’’

৬৩ বছর সম্প্রচারের পর বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য বন্ধ হচ্ছে ভয়েস অফ আমেরিকার (ভিওএ) বাংলা রেডিও সেবা। আগামী ১৭ জুলাই থেকে এফএম এবং শর্টওয়েভ সার্ভিসে আর ভয়েস অফ আমেরিকার বাংলা সেবা পাওয়া যাবে না।

মূলত বাংলাদেশ, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা ও আসামের বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য সেবা দিয়ে আসছিল গণমাধ্যমটি।

নিজেদের ওয়েবসাইটে দেয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে ভয়েস অফ আমেরিকা জানায়, বাংলায় রেডিও সেবা বন্ধ হলেও তাদের টেলিভিশন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পরিসর আরও বাড়াচ্ছে। যেখানে সাপ্তাহিক এক কোটি ৬০ লাখের বেশি দর্শক ও শ্রোতা সংযুক্ত আছেন।

ভয়েস অফ আমেরিকার ভারপ্রাপ্ত প্রোগ্রাম পরিচালক জন লিপম্যান বলেন, ‘‘যখন ১৯৫৮ সালে বাংলাদেশে ভিওএ যাত্রা করে তখন বাংলাদেশ পরিচিত ছিল ‘পূর্ব পাকিস্তান’ নামে। সে সময় সেখানে সামরিক আইন চলছিল এবং কোনো টেলিভিশন কিংবা বেসরকারি রেডিও ছিল না।’’

‘তখন সীমান্তের ওপার থেকে নিরপেক্ষ ও স্বাধীন সংবাদ, তথ্য বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য জীবনচরিত ছিল।’

যদিও এখন শর্টওয়েভে শ্রোতা ১ শতাংশের কম হয়ে গেছে। পাশাপাশি ভয়েস অফ আমেরিকার সামাজিক মাধ্যমে দর্শক সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ক্রমাগত বেড়েই চলেছে।

টুইটার অ্যাকাউন্টে গত বছর অনুসারী বৃদ্ধির হার ৫৪ শতাংশ, যদিও একই সময়ে এই সার্ভিসে ইনস্টাগ্রামে ভিডিও দেখার পরিমাণ বেড়েছে ২৭৪ শতাংশ।

লিপম্যান বলেন, ‘বাংলাদেশে কয়েক ডজন স্থানীয় বেসরকারি টেলিভিশন ও রেডিও একে অপরের সঙ্গে বাংলা ভাষায় কনটেন্ট পৌঁছে দিতে প্রতিযোগিতা করছে। এসবের ডিজিটাল মাধ্যমও বেড়ে চলেছে।

‘বাংলাদেশে টিভি ও অনলাইন অ্যাক্সেসের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ভয়েস অফ আমেরিকাও বিভিন্ন প্রোগ্রাম ও সার্ভিস দিয়ে এসেছে। যেগুলো এখনও প্ল্যাটফর্মে সক্রিয় রয়েছে।’

ভয়েস অফ আমেরিকার বাংলা সার্ভিসের প্রধান শতরূপা বড়ুয়া বলেন, ‘সেই শুরুর দিন থেকে বাংলা রেডিওর সম্প্রচার বিশ্বের শ্রোতাদের কাছে প্রাথমিক একটা মাধ্যম হিসেবে কাজ করছে।’

‘এটা আমাদের জন্য একটা পরিবার। আমরা এর মাধ্যমে সুনাম, মিডিয়ায় আমাদের উপস্থিতি শর্টওয়েভ ও মিডিয়ামওয়েভে বাড়িয়ে তুলব।’

তবে রোহিঙ্গা ভাষায় ৩০ মিনিটের রেডিও অনুষ্ঠান ‘লাইফলাইনে’ কোনো ধরনের প্রভাব পড়বে না।

বাংলা বিভাগের অধীনে রোহিঙ্গাদের নিয়ে অনুষ্ঠানটি সম্প্রচার শুরু হয় ২০১৯ সালের জুলাই থেকে।

এ বিভাগের আরো খবর