বাংলাদেশ সরকারের কাছে মুক্তিযুদ্ধে পাক বাহিনীর হাতে নিহত কলকাতার দুই সাংবাদিকের শহীদের স্বীকৃতির আবেদন জানাল কলকাতা প্রেসক্লাব।
দিল্লির বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার (প্রেস) শাবান মাহমুদের অভ্যর্থনা ও কলকাতা বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশনের প্রথম প্রেস সচিব মোফাকখারুল ইসলামের বিদায় অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার এমন দাবি জানানো হয়।
এ সময় কলকাতা প্রেস ক্লাবের সভাপতি স্নেহাশীষ সুর ও সাধারণ সম্পাদক কিংশুক প্রামানিক তাদের উত্তরীয় পরিয়ে ফুল দিয়ে সংবর্ধনা জানান।
বিশেষ এই অনুষ্ঠানে কলকাতার বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের বিদায়ী প্রথম প্রেস সচিব মোফাকখারুল ইসলাম, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধে কলকাতা প্রেস ক্লাবের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘এই প্রেস ক্লাবের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের খবর বিদেশি মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ত।’
মুক্তিযুদ্ধের সময় কলকাতার দুই তরুণ সাংবাদিক দীপক বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুরজিৎ ঘোষাল পাক বাহিনীর হাতে নিহত হন। ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা হয়ে তারা কুমিল্লায় প্রবেশ করেছিলেন যুদ্ধক্ষেত্রের খবর সংগ্রহ করতে। সেখানে তারা পাক বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন, পরে তাদের হত্যা করা হয়।
মুক্তিযুদ্বেধ শহীৱদ হলেও দুই সাংবাদিক এখন পর্যন্ত কোনো স্বীকৃতি পাননি।
তাদের সম্মানে কলকাতা প্রেস ক্লাব পুস্তিকা প্রকাশ করেছে। কলকাতা প্রেস ক্লাবে তাদের নামফলকও উন্মোচন করেছেন বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
মুক্তিযুদ্ধে নিহত ১৩ জন বাংলাদেশি সাংবাদিককে শহীদের স্বীকৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
ওই দুই ভারতীয় সাংবাদিকের নাম মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সাংবাদিকের তালিকায় যুক্ত করার আবেদন করে কলকাতা প্রেস ক্লাব। তাদের শহীদ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন মন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
এবার সেই একই আবেদন করা হয়েছে মঙ্গলবারের অনুষ্ঠানে।
বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারের নজরে আনবেন বলে জানিয়েছেন দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার (প্রেস) শাবান মাহমুদ।
সেই সঙ্গে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের ইতিবাচক ভূমিকা পালনে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।