বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভারতে করোনার তৃতীয় ধাক্কা অক্টোবর-নভেম্বরে

  •    
  • ৪ জুলাই, ২০২১ ১২:২৯

আগারওয়াল বলেন, দ্বিতীয় ধাক্কাটি আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে শেষ হতে পারে। তৃতীয় ধাক্কা শুরু হয়ে সেটি পিক টাইমে যেতে পারে অক্টোরব-নভেম্বর সময়ে।

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ধাক্কায় মৃত্যুর সংখ্যা ৪ লাখ ছাড়িয়েছে ভারতে। দেশটিতে করোনার তৃতীয় ধাক্কা অক্টোবর-নভেম্বরে আসতে যাচ্ছে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।

সরকারের করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে বিজ্ঞানীদের নিয়ে গঠিত পরামর্শক কমিটি এই সতর্কবার্তা দিয়েছে।বিজ্ঞানীরা বলেছেন, দ্বিতীয় ধাক্কায় দেশে দৈনিক সংক্রমণ রেকর্ড ছাড়ায়। এই অবস্থায় যদি স্বাস্থ্যবিধি সঠিকভাবে না মানা হয় তাহলে তৃতীয় ধাক্কা ভয়াবহ হতে পারে।

কোভিড-১৯ ট্রাজেকটরির গাণিতিক হিসাব নিয়ে কাজ করা সূত্রা মডেলের মণিন্দ্রা আগারওয়াল বলেন, তৃতীয় ধাক্কায় নতুন ভ্যারিয়েন্ট সার্স-কভ-২ আরও দ্রুত ছড়াবে।

ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের অধীনে এই প্যানেলটির যাত্রা শুরু হয়। উদ্দেশ ছিল গাণিতিক করোনাভাইরাস ছড়ানোর হিসাবের পূর্বাভাস করা।

আগারওয়ালের পাশাপাশি বিজ্ঞানীদের দলে আছেন আইআইটি কানপুরের এম বিদ্যাসাগর, হায়দরাবাদের আইআইটির বিজ্ঞানী, ডিফেন্স স্টাফের ডেপুটি চিফ (মেডিক্যাল) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাধুরী কান্তিকরসহ আরও কয়েকজন।

এর আগে অবশ্য দেশটিতে করোনার দ্বিতীয় ধাক্কার পূর্বাভাস দিতে ব্যর্থ হয়েছিল এই প্যানেলটি।

আগারওয়াল বলেন, দ্বিতীয় ধাক্কার সময় টিকার প্রভাব, স্বল্প ইমিউনিটি ও সম্ভাব্য ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে খুব বেশি কাজ করা হয়নি।

তিনি জানান, পূর্বাভাস ও সতর্কতা সম্পর্কে বিস্তারিত রিপোর্ট শিগগির প্রকাশ করা হবে।

আগারওয়াল বলেন, ‘আমরা তিনটি বিষয় দেখতে পাচ্ছি। একটি হচ্ছে আগস্টের মধ্যে জীবন স্বাভাবিকে ফিরে আসবে। এর মধ্যে আর নতুন কোনো মিউট্যান্ট দেখা না-ও যেতে পারে। আরেকটি হচ্ছে মাধ্যমিক বিষয়, যেখানে টিকা ২০ শতাংশের কম কার্যকর। তৃতীয়টি হচ্ছে, আগস্টের মধ্যে নতুন ২৫ শতাংশ মিউট্যান্ট করে তা ছড়িয়ে পড়তে পারে।’

তিনি জানান, দ্বিতীয় ধাক্কাটি আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে শেষ হতে পারে। তৃতীয় ধাক্কা শুরু হয়ে সেটি পিক টাইমে যেতে পারে অক্টোরব-নভেম্বর সময়ে।

যে গাণিতিক হিসাব করেছেন বিজ্ঞানীরা তাতে বলা হচ্ছে, করোনার তৃতীয় ধাক্কায় দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা হতে পারে দেড় থেকে দুই লাখের মধ্যে।

এটি দ্বিতীয় ধাক্কার চেয়ে কম বলেও জানানো হয়। দ্বিতীয় ধাক্কায় ভারতে দৈনিক করোনা শনাক্ত সংখ্যা চার লাখ ছাড়ায়।

গত ৭ মে ভারতে এক দিনে শনাক্ত হয় ৪ লাখ ১৪ হাজার ১৮৮ জন। এটাই ছিল দ্বিতীয় ধাক্কায় এক দিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত।

ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট, যেটা ভারতে সবচেয়ে দ্রুত ছড়ানোর রেকর্ড গড়ে, এর ফলেই বেশি বেশি আক্রান্ত হয় বলে জানান বিজ্ঞানীরা।

তবে এরই মধ্যে বড় পরিসরে দেশটিতে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হওয়ায় করোনার তৃতীয় ও চতুর্থ ধাক্কা কিছুটা কম হবে বলে পূর্বাভাসে জানান আগারওয়াল।

তৃতীয় ধাক্কায় দৈনিক শনাক্ত ৫০ থেকে ১ লাখ সংখ্যার ভেতরই থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এই সংখ্যা আরও বেশি হতেও পারে বলে বিজ্ঞানীদের ধারণা।

প্যানেলের অন্য সদস্য এম বিদ্যাসাগর বলেন, করোনার তৃতীয় ধাক্কায় হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা কমবে।

প্যানেলটি যুক্তরাজ্যের উদাহরণ টেনে বলেন, জানুয়ারিতে দেশটিতে যেখানে দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা ৬০ হাজার ও মৃত্যু ১ হাজার ২০০ ছিল, সেখানে চতুর্থ ধাক্কায় শনাক্ত কমে ২১ হাজার ও মৃত্যু কমে ১৪ জনে দাঁড়িয়েছে।

বিদ্যাসাগর জানান, এই সংখ্যা কমিয়ে আনতে সহায়তা করবে ব্যাপক টিকাদান কর্মসূচি।

এ বিভাগের আরো খবর