ভারতের জম্মু-কাশ্মীরের জম্মু বিমানবাহিনী নিয়ন্ত্রিত বিমানবন্দরে ড্রোন হামলার রেশ এখনও কাটেনি। দেশটিতে এটিই প্রথম কোনো ড্রোন হামলা। যার তির ছোড়া হচ্ছে চিরশত্রু দেশ পাকিস্তানের দিকে।
সেই রেশ কাটতে না কাটতে এবার পাকিস্তানের ইসলামাবাদে ভারতীয় দূতাবাসের ওপর ড্রোন দেখা গেছে। বিষয়টি নিয়ে বেশ হুলুস্থুল কাণ্ডও ঘটেছে।
ড্রোন দেখার পরপরই নিরাপত্তা বিঘ্নিতের অভিযোগ এনে পাকিস্তানের কাছে এর কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারত। দূতাবাসের সঙ্গে সঙ্গে কর্মকর্তাদেরও নিরাপত্তা বিঘ্নিতের শঙ্কা প্রকাশ করেছে ভারত।
জম্মু-কাশ্মীরে ড্রোন হামলার এক সপ্তাহ পরেই এমন ঘটনায় উত্তেজনা বিরাজ করছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি।
জম্মু বিমানবন্দরে গত রোববারের ড্রোন হামলার পর থেকে ভারতীয় সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হামলাটি ‘একটি রাষ্ট্রের’ মদদে হয়েছে।
এর সঙ্গে পাকিস্তানি জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তাইয়েবা জড়িত থাকতে পারে বলেও ভারতের পক্ষ থেকে দাবি উঠেছে।
ছয় মাস আগে হামলার প্রস্তুতি নেয়ার সময় ভারতে কয়েকজন লস্কর-ই-তাইয়েবা জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের গ্রেপ্তারের সঙ্গে এই হামলার সম্পর্কের কথাও বলা হয়।
ভারত বলছে, পাকিস্তানের মাটিতে কঠোর নিরাপত্তার ভারতীয় দূতাবাসের ওপর এমন ড্রোন ওড়ানো নিরাপত্তার লঙ্ঘন।
গত কয়েক বছর থেকেই সীমান্ত পেরিয়ে ড্রোন দিয়ে অস্ত্র ফেলার অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স বা বিএসএফ হরহামেশাই সীমান্তে পাকিস্তানের এমন ড্রোন দেখার দাবি করেছে। তারা অনেক ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করার কথাও জানিয়েছে।
২০১৯ সালের আগস্টে পাঞ্জাবের অমৃতসরের একটি গ্রামে ড্রোন বিস্ফোরণ হয়। পরের মাসে মাদক ও অস্ত্র ফেলার অভিযোগে আটটি ড্রোন ভূপাতিত করার খবর জানায় বিএসএফ।
গত সপ্তাহে জম্মু বিমানবন্দরে ছয় মিনিটের ব্যবধানে দুটি ড্রোন হামলায় বিমানবাহিনীর দুই কর্মকর্তা আহত হন।