করোনাভাইরাস সংক্রমণ অনেকটা কমে আসেছে ভারতে। দেশটিতে গত ৩ মাস ১২ দিন পর করোনা শনাক্ত ৪০ হাজারের নিচে নেমেছে।
গত ১৯ মার্চের পর এটাই ভারতে করোনার সর্বনিম্ন সংক্রমণ।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩৭ হাজার ৫৬৬ জনের। এতে দেশটিতে করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৩ লাখ ১৬ হাজার ৮৯৭ জনে।
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ভাইরাসটিতে মৃত্যু আগের দিনের মতোই হাজারের নীচে আছে। এ সময় মৃত্যু হয়েছে ৯০৭ জনের।
মহামারি করোনাভাইরাসে ভারতে মৃত্যু হলো ৩ লাখ ৯৭ হাজার ৬৩৭ জনের।
সংক্রমণ ও মৃত্যু কমার পাশাপাশি কমেছে দৈনিক সংক্রমণের হার। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ১২ শতাংশ। এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরেই এই হার ৩ শতাংশের নীচে রয়েছে।
আর পরীক্ষা বিবেচনায় এখন পর্যন্ত ভারতে সংক্রমণের হার ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
ভারতে এখন সক্রিয় রোগী কমাও অব্যাহত রয়েছে। এখন দেশটিতে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ৫ লাখ ৫২ হাজার ৬৫৯ জন।
দেশটিতে সবচেয়ে জোর দেয়া হয়েছে টিকা কার্যক্রমে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে টিকা দেয়া হয়েছে আরও ৫২ লাখ ৭৬ হাজার ৪৫৭ জনকে। এ নিয়ে ভারতে টিকা দেয়া হলো ৩২ কোটি ৯০ লাখ ২৯ হাজার ৫১০ জনকে।
ভারত করোনার সবচেয়ে ভয়াবহ সময় অতিক্রম করেছে গতে এপ্রিল ও মে মাসে। এপ্রিলে দৈনিক সংক্রমণ বেড়ে পৌঁছেছিল ৪ লাখে। সেটা টানা কয়েকদিন অব্যাহতও ছিল।
এরপর ৩ লাখ সংক্রমণের ঘরে ছিল বেশ কিছু দিন। আর দৈনিক মৃত্যুও বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজারের উপরে। আর দীর্ঘদিন দৈনিক মৃত্যু ৩ হাজারের উপরে ছিল।
গত ১ মে থেকে দেশটিতে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। এতে দেশটির ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের টিকা দেয়া শুরু হয়। চলতি বছরের মধ্যে দেশটির অধিকাংশ তরুণকে টিকা দেয়ার লক্ষ্য নিয়েছে মোদি সরকার।