ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের জম্মু বিমানবন্দরে জোড়া ড্রোন হামলার সঙ্গে পাকিস্তানি জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তাইয়েবার সংশ্লিষ্টতা তদন্ত করার কথা জানিয়েছে ভারত।
শনিবার রাত ২টার কিছু আগে জম্মু বিমানবন্দরে ৬ মিনিটের ব্যবধানে ওই দুটি হামলা হয়। এতে ভারতের দুজন বিমানবাহিনীর কমকর্তা আহত হন।
কড়া নিরাপত্তার জম্মু বিমানবন্দরটি পাকিস্তান সীমান্ত থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরে। যেখানে প্রথম ড্রোন হামলাটি হয় শনিবার রাত ১টা ৩৭ মিনিটে। পরের হামলা হয় ১টা ৪৩ মিনিটে।
এক হামলায় বিমানবন্দরের কারিগরি ভবনের ছাদ ধসে যায়, অন্য বোমাটি বিস্ফোরণ হয় ফাঁকা স্থানে।
ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রাথমিক তদন্তে জানায়, দুটি বিস্ফোরণই তুলনামূলক কম শক্তিশালী ছিল।
জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশপ্রধান দিলবাগ সিং বলেন, ‘জম্মু বিমানবাহিনীর স্টেশনে হামলা একটি সন্ত্রাসী হামলা।’
হামলার ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী বেআইনি কর্মকাণ্ড (প্রতিরোধ) আইনে একটি এফআইআর করা হয়েছে। এতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাউকে তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই ছয় মাস পর্যন্ত আটকে রাখতে পারবে। জাতীয় তদন্ত সংস্থা ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে।
ভারতীয় বিমানবাহিনী, ন্যাশনাল বম্ব ডেটা সেন্টার, ফরেনসিক এক্সপার্ট এবং জম্মু-কাশ্মীরের পুলিশও হামলার ঘটনা তদন্ত করছে।
পুলিশপ্রধান বলেন, পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েকজনকে আইইডি বা ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইসসহ আটক করা হয়। তারা এটি জনাকীর্ণ স্থানে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করেছিল।
যদিও দিলবাগ সিং বলছেন, ‘ওই গ্রেপ্তারের সঙ্গে বিমানবন্দরে হামলার কোনো সম্পর্ক নেই।’
তিনি সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে বলেন, ‘জম্মু এয়ারফিল্ডে পে লোডসহ ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছিল। আরেকটি অবিস্ফোরিত বোমা পেয়েছে জম্মু পুলিশ। এসব আইইডি লস্কর-ই-তাইয়েবার কাছ থেকে নেয়া হয়েছে এবং সেগুলো জনাকীর্ণ স্থানে বসানো হয়।’
জম্মু বিমানবন্দরটি বিমানবাহিনী ও যাত্রী পরিবহন উভয় কাজেই ব্যবহার করা হয়। বিমানবন্দরটির পরিচালক প্রভাত রঞ্জন পিটিআইকে বলেছেন, ফ্লাইট পরিচালনায় কোনো ধরনের বাধা নেই।