বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাবা-মা-বোনসহ চারজনকে হত্যার পর গুম করেন আসিফ

  •    
  • ১৯ জুন, ২০২১ ১৪:০৩

প্রতিবেশীদের দাবি, ফেব্রুয়ারি মাস থেকে পরিবারের চার সদস্যকে তারা দেখতে পাচ্ছিলেন না। প্রতিবেশীরা তাদের সম্পর্কে খোঁজখবর নিলে আসিফ জানান, তারা বেড়াতে গেছেন।

একই পরিবারের ৪ সদস্য বাবা-মা-বোন ও দাদিকে খুন করেন আসিফ মেহবুব। খুনের পর গুমের জন্য লাশগুলো পুঁতে রাখেন বাড়ির বেসমেন্টের সুড়ঙ্গের মাটিতে। পরে আত্মীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে যুবক আসিফকে গ্রেপ্তার করেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদহের কালিয়াচক থানার পুরাতন ১৬ মাইল এলাকায়।

প্রতিবেশীদের দাবি, ফেব্রুয়ারি মাস থেকে পরিবারের চার সদস্যকে তারা দেখতে পাচ্ছিলেন না। প্রতিবেশীরা তাদের সম্পর্কে খোঁজখবর নিলে আসিফ জানান, তারা বেড়াতে গেছেন।

পুলিশ জানায়, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে কোথায় বেড়াতে গেলেন, আর এত দিন কোথায়, এমন সন্দেহ হলে শুক্রবার আসিফের এক আত্মীয় বাড়িতে গিয়ে খোঁজ নেন।

পরিবারের অন্যদের খোঁজে আসিফকে জিজ্ঞাসা করলে একটা পর্যায়ে রেগে গিয়ে ওই আত্মীয়কে হত্যার হুমকি দেন আসিফ।

পরে ওই আত্মীয় পুলিশে অভিযোগ জানান। মালদার কালিয়াচক থানার পুলিশ গিয়ে যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে।

পুলিশ জানায়, গত ফেব্রুয়ারিতে আসিফ তার বাবা-মা-বোন ও দাদিকে খুন করে প্রমাণ লোপাটের জন্য মাটিতে পুঁতে রাখেন বলে স্বীকার করেছেন।

পুলিশ বলছে, পরিবহন ব্যবসায়ী বাবার ছেলে ১৯ বছরের তরুণ আসিফের বেহিসেবি খরচের স্বভাব। ছেলের বেহিসেবি খরচে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিলেন বাবা। শেষ পর্যন্ত তার সব গাড়ি একে একে বিক্রি করে দিতে শুরু করেন।

মানসিক বিকৃতি, সম্পত্তির বিবাদ থেকে, নাকি অন্য কোনো কারণে এই খুন তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

মনোরোগ বিশেষজ্ঞ সব্যসাচী মিত্র জানান, ‘এই ঘটনা থেকে যেটুকু জেনেছি ও বুঝেছি, এখানে একটা ক্রিমিনাল বেন্ট অফ মাইন্ড নিশ্চয় আছে। তা না হলে, এ রকম পরপর খুন করে, এত দিন ধরে মাটির তলায় লুকিয়ে রেখে, মানসিক ভারসাম্য বজায় রাখা, মেন্টাল হেলথ প্রবলেমের দিকে যাচ্ছে না।’

গ্রেপ্তার আসিফের গতিবিধিতে বিপাকে পড়েছে পুলিশ। তার ঘর থেকে পাওয়া গেছে একাধিক ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, সাউন্ড সিস্টেম, টিভি, সিসিটিভি ক্যামেরাসহ বহু অত্যাধুনিক গেজেট।

বাইরের কারও সে ঘরে প্রবেশের অনুমতি ছিল না। দীর্ঘদিন বাড়ির বাইরে না বেরিয়ে, অনলাইনে খাবার অর্ডার করতেন আসিফ। প্রতিবেশী কারও সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন না।

এসব গেজেট দিয়ে কী করতেন আসিফ সেটিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

এ বিভাগের আরো খবর