বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সোমবার থেকে চলবে দূরপাল্লার বাস

  •    
  • ২৩ মে, ২০২১ ১২:৫০

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে আরও এক সপ্তাহের লকডাউন বাড়িয়ে রোববার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। নতুন করে দেয়া প্রজ্ঞাপনে দূরপাল্লার বাস, লঞ্চ এবং ট্রেন চালু করে দেয় সরকার।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক আসন খালি রেখে ও সমন্বিত ভাড়ায় সোমবার থেকে দূরপাল্লার পরিবহন চলবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

জাতিসংঘ গ্লোবাল রোড সেফটি উইকে অনলাইন লাইভ আলোচনায় রোববার সকালে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে আরও এক সপ্তাহের লকডাউন বাড়িয়ে রোববার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। নতুন করে দেয়া প্রজ্ঞাপনে দূরপাল্লার বাস, লঞ্চ এবং ট্রেন চালু করে দেয় সরকার।

কাদের বলেন, ‘সোমবার থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক আসন খালি রেখে ও সমন্বিত ভাড়ায় দূরপাল্লার পরিবহন চলাচল করবে।

‘গাড়ি চালু করার আগে অবশ্যই গাড়িকে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। যাত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে শতভাগ মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে।’

নির্দেশনা পালনে যাত্রী ও পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের সহযোগিতাও চান সড়ক পরিবহনমন্ত্রী কাদের।

সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের জামিন পাওয়া নিয়ে মন্ত্রী কাদের বলেন, ‘সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের জামিন পাওয়ার মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে, আদালত সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং সরকার এতে কোনোরূপ হস্তক্ষেপ করেনি।’

দেশে গত ৫ এপ্রিল থেকে দূরপাল্লার সব ধরনের বাস, ট্রেন, লঞ্চ বন্ধ করে দেয়া হয়। অবশ্য ঈদের আগে ৬ মে জেলার অভ্যন্তরে চলাচলের জন্য বাসসহ কিছু পরিবহন খুলে দেয়া হলেও লঞ্চ এবং ট্রেন বন্ধই রাখা হয়।

৩ মে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন দিয়ে ৬ মে থেকে মেট্রোপলিটন এলাকায় গণপরিবহন খুলে দেয়া হলেও বন্ধ রাখা হয় দূরপাল্লার সব গাড়ি।

দূরপাল্লার বাস ও লঞ্চ চালুর দাবিতে ঈদের আগে থেকেই বাস-লঞ্চ মালিক-শ্রমিকরা দাবি জানিয়ে আসছিলেন। তারা রাজধানীসহ সারা দেশে বিক্ষোভ করে দূরপাল্লার এসব পরিবহন চালুর দাবি জানায় সরকারের কাছে।

ঈদের দিনও সারা দেশে বিক্ষোভ করে বাস-লঞ্চ মালিক-শ্রমিকরা। সর্বশেষ লঞ্চ মালিকরা গতকাল শনিবারও সরকারের কাছে লঞ্চ চালুর দাবি জানান।

দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়লে গদ ৫ এপ্রিল থেকে সরকার লকডাউন দিয়ে প্রজ্ঞাপন দেয়।

কিন্তু করোনা শনাক্তের সংখ্যা তখন সর্বোচ্চ হারে পৌঁছালে নতুন করে আবারও বিধিনিষেধ বাড়ায় সরকার। সংক্রমণ প্রতিরোধে ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল ‘কঠোর’ বিধিনিষেধসহ ‘সর্বাত্মক’ লকডাউন আরোপ করা হয়।

তখন থেকে দূরপাল্লার সব ধরনের বাস, ট্রেন, লঞ্চ বন্ধ করে দেয়া হয়। বন্ধ করে দেয়া হয় অভ্যন্তরীণ রুট ও আন্তর্জাতিক রুটের বেশ কিছু ফ্লাইটও। পরে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে সারা দেশে সর্বাত্মক লকডাউন আরও এক সপ্তাহ অর্থাৎ ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ায় সরকার।

এর মধ্যে আরও এক দফা বাড়িয়ে লকডাউনের মেয়াদ করা হয় ৫ মে মধ্যরাত পর্যন্ত। তা শেষ হওয়ার দুই দিন আগে ১৬ মে পর্যন্ত এই লকডাউন বর্ধিত করার সিদ্ধান্ত জানায় সরকার।

সেটি শেষ হওয়ার দিন চলমান লকডাউন আরও এক সপ্তাহ অর্থাৎ ২৩ মে বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

এ বিভাগের আরো খবর