বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মামুনুলকে গ্রেপ্তার না করলে হরতালের হুমকি ইসলামি দলের

  •    
  • ১ এপ্রিল, ২০২১ ১৫:৩০

‘হরতাল কঠোরভাবে পালন করা হবে। রিকশা-সাইকেল কোনো কিছুই চলতে দেব না। সেই সঙ্গে মামুনুল হকের বাড়ি ঘেরাও করা হবে। তিনি লালবাগে থাকুন বা যেখানেই থাকুন, তার বাড়ি ঘেরাও করে তাকে ছিনিয়ে এনে প্রশাসনের হাতে তুলে দেয়া হবে। যত রক্তের বিনিময় হোক তাকে আমরা ছিনিয়ে আনব।’

হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবের ঘটনায় সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ ইমলামী পিপলস পার্টি। দাবি মানা না হলে ৫ এপ্রিল সোমবার দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতাল দেয়ারও হুঁশিয়ারিও দিয়েছে তারা।

হরতালে মামুনুল হকের বাড়ি ঘেরাও করে তাকে ধরে এনে প্রশাসনের হাতে তুলে দেয়ার ঘোষণাও দিয়েছে দলটি। সংগঠনের এক নেতার দাবি, মামুনুল হক কোনো মাওলানা নয়, তিনি ’ফাসেক’ বা পাপিষ্ঠ।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘ইসলামের নামে যারা রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করে ইসলামের দৃষ্টিতে তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া উচিত’ বিষয়ক এক আলোচনার আয়োজন করে দলটি। সেখানে এর চেয়ারম্যান মাওলানা ইসমাইল হোসাইন এই দাবি জানান।

মামুনুল হকসহ সহিংসতার নির্দেশদাতা হেফাজত নেতাদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সরকারের প্রতি জোর দাবি থাকবে, ইসলামের নামে যারা এ সমস্ত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছে তাদের আগামী চারদিনের মধ্যে গ্রেপ্তার করতে না পারলে আমরা আগামী ৫ তারিখে সকাল সন্ধ্যা হরতাল দেব।’

জাতীয় প্রেসক্লাবে ইসলামির পিপলস পার্টির আলোচনা সভায় বক্তারা

এই হরতাল কঠোরভাবে পালন করা হবে জানিয়ে মাওলানা ইসমাইল বলেন, ‘রিকশা-সাইকেল কোনো কিছুই চলতে দেব না। সেই সঙ্গে মামুনুল হকের বাড়ি ঘেরাও করা হবে। তিনি লালবাগে থাকুন বা যেখানেই থাকুন, তার বাড়ি ঘেরাও করে তাকে ছিনিয়ে এনে প্রশাসনের হাতে তুলে দেয়া হবে। যত রক্তের বিনিময় হোক তাকে আমরা ছিনিয়ে আনব।’

গত শুক্র ও রোববার হেফাজতের তাণ্ডবে চট্টগ্রামের হাটহাজারী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান, হবিগঞ্জের আমজিরীগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ সদরে তাণ্ডব চালায় হেফাজত কর্মীরা। তারা সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় বেপরোয়া হামলা চালায়।

এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর জুড়ে দুই দিনই ত্রাস তৈরি করে হেফাজত কর্মীরা। সেখানে সরকারি নানা স্থাপনার পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্নগুলোতে ভাঙচুরের পাশাপাশি দেয়া হয়েছে আগুন।

রোববারের হরতালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে হেফাজতের তাণ্ডবের তীব্র সমালোচনা হচ্ছে

হেফাজত নেতা মামুনুল হক এই তাণ্ডবে নিজেদের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করলেও সংগঠনের নায়েবে আমির ও নারায়ণগঞ্জ শাখার আমির মাওলানা আবদুল আউয়াল সংগঠন ছেড়ে দেয়ার ঘোষণা দেন সোমবার। তাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে সংগঠনে ফিরিয়ে আনতে বুধবার নেতাদেরকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জ যান মামুনুল হক।

হেফাজতের তাণ্ডবের ঘটনায় বেশ কিছু মামলা হলেও তাতে সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের নাম নেই। যদিও পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদ বলেছেন, তদন্তে যাদের নাম আসবে তারা কেউ ছাড় পাবেন না।

হরতালের দিন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সানারপাড় থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত সড়কে তাণ্ডব দেখে আশাহত হয়েছেন হেফাজত নেতা আবদুল আউয়াল স্বয়ং

হেফাজতের সহিংসতা প্রসঙ্গে ইসমাইল হোসাইন বলেন, ‘পবিত্র কোরআন ও হাদিসের আলোকে এ কথা প্রতীয়মান হয় যে, অযথা জ্বালাও-পোড়াও করে রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট করার কোনো সুযোগ ইসলামে নেই। ইসলামের স্বার্থে বা ইসলামিক কোনো দাবি আদায়ের ক্ষেত্রেও ইসলামের প্রকৃত দৃষ্টিভঙ্গী এবং শান্তিপূর্ণ পদ্ধতি অনুসরণ করা উচিত। এক্ষেত্রে দেশে ইসলামী ধর্মীয় দলগুলোকে আরও সচেতন হওয়া দরকার।’

অনুষ্ঠানে ইসলামী চিন্তাবিদ হাজী হাবিব উল্লাহ বলেন, ‘একাত্তর সালে পাকিস্তানিরা যেভাবে তাণ্ডব চালিয়েছে হেফাজত ইসলাম ২০২১ সালে এসেও সেভাবেই তাণ্ডব চালিয়েছে। মামুনুল হক নামের যে ব্যক্তিটি, তিনি মাওলানা নয়। মামুনুল হককে আমি ফাসেক বলে দাবি করছি। তাকে আইনের আওয়াতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।’

সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা কাজী শাহ মোহাম্মদ ওমর ফারুক, নড়াইলের পীর হারুনুর রশিদ মিরন, মাওলানা কাজী আব্দুল কাইয়ুম, হাফেজ মাওলানা আব্দুল আজিজ, হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ তাহেরুল ইসলাম, হাফেজ মো. আবুল কালাম, হাফেজ মাওলানা মো. ইব্রাহিম, মুফতি মাওলানা মো. তাজুল ইসলামও এ সময় বক্তব্য রাখেন।

এ বিভাগের আরো খবর