বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শেখ হাসিনার ভালো চিন্তার শ্রেষ্ঠ উদাহরণ পদ্মা সেতু: আবুল হোসেন

  •    
  • ১ জানুয়ারি, ২০২১ ১৯:৪০

‘ভালো চিন্তা মহৎ কিছু সৃষ্টিতে অবদান রাখে। ভালো চিন্তা মানে মানুষের কল্যাণ, দেশের উন্নয়ন নিয়ে ভাবা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমন এক রাষ্ট্রনায়ক যিনি সব সময় দেশের মানুষের জন্য ভাবেন, দেশের মানুষের কল্যাণ নিয়ে চিন্তা করেন। স্বপ্ন দেখেন একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার; যে বাংলাদেশে কোনো অভাব থাকবে না, সুশাসন থাকবে। থাকবে এমন পরিবেশ যেখানে সবাই মিলেমিশে সুখে-শান্তিতে বসবাস করে।’

পদ্মা সেতু নির্মাণের সব কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দিচ্ছেন সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী আবুল হোসেন, যাকে ঘিরে ছিল নানা আক্রমণ, সমালোচনা।

দেশের সবচেয়ে বড় সেতু প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ এখনও শেষ হয়নি। তবে সবগুলো স্প্যান নির্মাণ হয়ে যাওয়ায় কর্মযজ্ঞের একটি ধাপ শেষ হয়েছে।

সেটি আরও তিন সপ্তাহ আগের কথা। নতুন বছরের প্রথম দিনে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে এই সেতু নিয়ে আবেগী বক্তব্য লিখেছেন আবুল হোসেন, যিনি এই সেতু নির্মাণকে কেন্দ্র করে মন্ত্রিত্ব ছেড়েছিলেন।

‘দেশপ্রেম, দৃঢ় সংকল্প, ভালো চিন্তা ও নেতৃত্বের প্রতীক এই পদ্মা সেতু’ বলে লেখা শেষ করে দেশবাসীকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানান সাবেক এই মন্ত্রী।

আবুল হোসেন লেখেন, ‘পদ্মা সেতুর একমাত্র রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানাই নতুন বছরের শুভেচ্ছা ও শ্রদ্ধা। আজকের পদ্মা সে ভালো চিন্তার শ্রেষ্ঠ উদাহরণ।’

পদ্মা সেতুতে বসেছে সবগুলো স্প্যান। জোড়া লেগেছে দুই পার। ফাইল ছবি

পদ্মা সেতু নির্মাণে শেখ হাসিনা উদ্যোগ নিয়েছিলেন প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হয়েই। তবে কাজ আগাতে পারেননি। দ্বিতীয়বার ২০০৯ সালে সরকার প্রধান হওয়ার পর বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি করেন।

তবে অর্থায়ন নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। দাতা সংস্থাটি অভিযোগ করতে থাকে পরামর্শক নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির চেষ্টা হয়েছে। তারা অর্থায়ন প্রথমে স্থগিত এবং পরে বাতিল করে।

বিশ্বব্যাংক দাবি করছিল আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। কিন্তু সরকার বলে আসছিল, প্রমাণহীন কোনো বিষয়ে তারা ব্যবস্থা নেবে না। অবশ্য পরে আবুল হোসেন এই প্রকল্প থেকে সরে দাঁড়ান। আর সরকার নিজ অর্থে সেতু নির্মাণে এগিয়ে যায়।

এর মধ্যে কানাডার আদালতে বিশ্বব্যাংকের করা একটি মামলায় রায় হয় ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে, যাতে বিশ্বব্যাংকের দুর্নীতি চেষ্টার অভিযোগকে গালগপ্প, উড়ো কথা বলে বিরক্তি প্রকাশ করেন বিচারক।

পদ্মা সেতুকে ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় প্রত্যয় এবং মাথা নত না করার শ্রেষ্ঠ উদাহরণ’ উল্লেখ করে আবুল হোসেন বিশ্বব্যাংকের টালবাহানার কথাও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘ভিত্তিহীন ও মিথ্যা অভিযোগ তুলে পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বিশ্বব্যাংক স্থগিত করেছিল। কানাড়ার আদালতের রায় ও দুদকের তদন্তে বিশ্বব্যাংকের অপবাদ ও অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু শেখ হাসিনার একক সিদ্ধান্তে নিজস্ব অর্থায়নে বাংলাদেশের স্বপ্নের পদ্মা সেতু আজ দৃশ্যমান।’

মিথ্যা অভিযোগে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন বন্ধ না করলে ২০১৩ সালের ডিসেম্বরেই পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হতো বলে আক্ষেপ করেন আবুল হোসেন।

দেশ-বিদেশের চাপের মুখেও শেখ হাসিনা ভেঙে না পড়ায় তার ভূয়সী প্রশংসা করেন আবুল হোসেন। তিনি লেখেন, ‘ভালো চিন্তা মহৎ কিছু সৃষ্টিতে অবদান রাখে। ভালো চিন্তা মানে মানুষের কল্যাণ, দেশের উন্নয়ন নিয়ে ভাবা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমন এক রাষ্ট্রনায়ক যিনি সব সময় দেশের মানুষের জন্য ভাবেন, দেশের মানুষের কল্যাণ নিয়ে চিন্তা করেন। স্বপ্ন দেখেন একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার; যে বাংলাদেশে কোনো অভাব থাকবে না, সুশাসন থাকবে। থাকবে এমন পরিবেশ যেখানে সবাই মিলেমিশে সুখে-শান্তিতে বসবাস করে।’

পদ্মা সেতুর সবগুলো স্প্যান বসানোর কাজ শেষ। ফাইল ছবি

সাবেক এই যোগাযোগ মন্ত্রী লিখেন, ‘আমি মনে করি, ভালো চিন্তা মানুষকে কোনো কাজ বাস্তবায়নে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ করে। আর প্রতিজ্ঞার এই দৃঢ়তা মানুষের আচরণে, কর্মে প্রতিফলিত হয়। ভালো আচরণ ক্রমান্বয়ে মানুষের অভ্যাসে পরিণত হয়। এই অভ্যাস এক সময় মর্যাদায় উন্নীত হয়। আর এই মর্যাদাবোধ আমাদের নির্দিষ্ট কর্ম সম্পাদনে লক্ষ্যে পৌঁছে দেয়। কাজেই লক্ষ্য স্থির করতে হলে, ভালো চিন্তা করা অতীব প্রয়োজন।’

পদ্মা সেতু ছাড়াও যোগাযোগ খাতের উন্নয়নে নানা মেগা প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন আবুল হোসেন। লেখেন, ‘কর্ণফুলীতে টানেল হচ্ছে। ঢাকা মেট্রোরেলের কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে।’

কেবল যোগাযোগ খাত নয়, বাংলাদেশের সব খাতেই সমানতালে এগিয়ে যাচ্ছে বলেও মনে করেন সাবেক মন্ত্রী। বলেন, ‘আমাদের গড় আয়ু বেড়েছে। কমেছে মাতৃমৃত্যু এবং শিশু মৃত্যু হল। বেড়েছে মাথাপিছু আয়।

‘দেশ শতভাগ বিদ্যুতায়িত হয়েছে। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, আইটি, শিল্পায়নসহ সর্বক্ষেত্রে অপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে। মানুষ আজ পেট ভরে খেতে পাচ্ছে, উন্নত জীবনের সুযোগ পাচ্ছে। মৌলিক মানবিক চাহিদা নিশ্চিত হয়েছে।’ আবুল হোসেন লেখেন, ‘বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। এ ধারায় বাংলাদেশ ২০৩০ সালেই হবে বিশ্বের ২৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ।’

এ বিভাগের আরো খবর